• ‘ভুল তথ্য’ দিয়েছেন বলে স্বীকার কোর্টে, তৃণমূলের অস্বস্তি সুখেন্দু এ বার ‘ঠিক তথ্যের’ কার্টুনে
    আনন্দবাজার | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • ১৯৬২ সালে কার্টুনিস্ট আরকে লক্ষ্মণের আঁকা একটি কার্টুন। তাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তলায় লেখা, এই ব্যক্তির দোষ তিনি ‘ঠিক তথ্য’ ছড়িয়েছেন। গুজব ছড়াননি। পুরনো সেই কার্টুনটি নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সঙ্গে একটি অট্টহাসির ইমোজি। এর আগে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করায় কলকাতা পুলিশের তলব পেয়েছিলেন সুখেন্দু। কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এক্সের পোস্টে ভুল তথ্য ছিল, সে কথা কলকাতা হাই কোর্টে স্বীকার করেন তিনি। সব পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন সুখেন্দু।

    আরজি করের ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন সুখেন্দু। এমনকি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পরামর্শও দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল সাংসদ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ওই পোস্টেই কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াড নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন। আরজি কর-কাণ্ড এবং তার তদন্ত সংক্রান্ত ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে সুখেন্দুকে দু’বার ডাকা হয়েছিল লালবাজারে। গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।

    গত মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টে সুখেন্দু স্বীকার করে নেন, তাঁর করা পোস্টে ভুল তথ্য ছিল। তিনি জানান, তথ্যগত কিছু বিভ্রান্তির কারণে ওই পোস্ট করা হয়েছিল। সেটি মুছে ফেলা হবে। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন আপাতত সুখেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। রাজ্যকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারপতি। বুধবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

    আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদক সুখেন্দু। দলের একাধিক নেতা যখন গত ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছিলেন, তখন বিপরীত মেরুতে হেঁটে সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিলেন তিনি। এমনকি, নিজের মতো করে প্রতিবাদ কর্মসূচিও সেরেছিলেন। যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্নায় বসেছিলেন সুখেন্দুশেখর। এর ফলে শাসকদলকে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল। এর পর তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানিয়ে পোস্টও করেন। পরে তা মুছে ফেলেন। এর পর ফের শুক্রবার রাতের পোস্ট। এর ফলে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)