বর্ধমানে আদিবাসী ছাত্রী খুনের ঘটনার কিনারা, গ্রেপ্তার ভিন জেলার যুবক
এই সময় | ২৪ আগস্ট ২০২৪
বর্ধমানের নান্দুরে আদিবাসী ছাত্রী খুনের কিনারা করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। ধৃতের নাম অজয় টুডু (২৪)। তাকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। অভিযুক্ত মৃত ছাত্রীর পূর্বপরিচিত ছিল বলেই দাবি পুলিশের।বর্ধমানের নান্দুর ঝাপানতলার প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা নামে এক তরুণী গত ১৪ অগস্ট সন্ধ্যায় খুন হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে সব্জি ক্ষেতের পাশ থেকে তাঁর গলার নলী কাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের ১০ দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল। উল্লেখ্য, খুনের ঘটনার কিনারা করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের সিট গঠন করেছিলেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরাতে। গত এক সপ্তাহ ধরে পাঁশকুড়াতে পুলিশের একটি দল ছিল। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে গা ঢাকা দিত ওই যুবক। তিনবারের চেষ্টায় পুলিশের হাতে পাকড়াও হয়েছে বছর আঠাশের ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল প্রিয়াঙ্কার।
গত রবিবার জনজাতিদের সংগঠন গ্রেপ্তারের দাবিতে গাংপুরে টানা পাঁচ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল। সে দিনই পুলিশ জানিয়েছিল, ১০ দিনের মাথায় আততায়ীকে গ্রেপ্তার করা হবে। সেই শর্তে অবরোধ তুলে নেয় আদিবাসী সংগঠন। এরপর খুনের ঘটনার ১০ দিনের মাথায় অজয় টুডুকে গ্রেপ্তার করল জেলা পুলিশ। এই সময় ডিজিটালকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নান্দুরে আদিবাসী ছাত্রী খুনের ঘটনায় আমরা একজন যুবককে গ্রেপ্তার করেছি। ধৃতের নাম অজয় টুডু। তাকে আনা হচ্ছে। আমরা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত ঘটনা খতিয়ে দেখব।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এর মাঝেই বর্ধমান জেলায় তরুণীর নৃশংস খুনের ঘটনা সামনে আসে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ি থেকে কিছু কাজের সূত্রে বেরিয়েছিল ওই তরুণী। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মাঝেই বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।