• মাছের ডিমের বড়া, ইলিশ-পাবদায় মজলেন কীর্তি
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: কথায় আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। আর সেই মাছভাতে মজেই বাংলার সঙ্গে আত্মিক টান প্রমাণ করলেন প্রাক্তন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন তথা সাংসদ কীর্তি আজাদ। শুক্রবার কাটোয়ায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইলিশ মাছের ডিমের বড়া, কাতলা মাছের ডিম, ইলিশ মাছ, পাবদার ঝাল চেটেপুটে খেলেন তিনি। শেষপাতে কাটোয়ার বিখ্যাত পরানের পান্তুয়া মুখে দিয়ে ‘বহুত বড়িয়া’ বললেন প্রাক্তন খেলোয়াড়।

    এদিন সাংসদ কীর্তি আজাদ কাটোয়ার স্টেশনবাজারে তৃণমূলের অফিসে আসেন। সেখানে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেইসঙ্গে তাঁর এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুপুরে তাঁর জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়। সাংসদ আগে থেকেই ইলিশ ও কাতলার ডিম খাওয়ার কথা বলে রেখেছিলেন। সেইমতো বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু আগে থেকেই সাংসদের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করে রাখেন।

    স্টেশনবাজারে দলীয় অফিসে এদিন কীর্তি আজাদকে সংবর্ধনা দেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তারপরেই সাংসদ বৈঠকে বসেন। তাঁর এলাকার আওতায় পড়া বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস, ভাতারের বিধায়ক বনমালী হাজরা ও গলসির বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কীর্তি বিধায়কদের এলাকায় পুজোর আগেই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করতে বলেন।

    তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে আমি সংসদে কাজের ইউসি জমা দেব। তবেই টাকা মিলবে। তাই সমস্ত বিধানসভায় সাংসদ কোটার কাজ যাতে পুজোর আগে শুরু হয়ে যায়-সেটা বিধায়কদের দেখতে বলেছি। এখন কাজ শুরু হলে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।

    সাংসদের দুপুরের মেনুতে ছিল আদ্যপান্ত বাঙালি খাবার। উচ্ছেভাজা, পোস্তর বড়া, শুক্তোর সঙ্গে তাঁর প্রিয় পদ ইলিশ ও কাতলার ডিমের বড়া ছিল। এরপর মুগডাল, ইলিশ ভাপা, কাতলা মাছের পদ, পাবদার ঝাল, রুই পোস্ত পাতে পড়ে। মাছের সমস্ত পদই তৃপ্তিভরে খেয়েছেন তিনি। শেষ পাতে ছিল টক দই, চাটনি আর কাটোয়ার বিখ্যাত পরানের পান্তুয়া।এদিন খাওয়াদাওয়া সেরে কীর্তি আজাদ বলেন, বাঙালি খাবার অসাধারণ। মাছের ডিমের বড়া আমার খুব প্রিয়। ইলিশ মাছের ডিমের বড়া তো অসাধারণ। কাটোয়ার পরানের পান্তুয়া খুব ভালো লাগল। আবার এলে পান্তুয়া খাব।
  • Link to this news (বর্তমান)