• রোগীমৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতি, মানকর হাসপাতালে উত্তেজনা
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের নাম মাধব বাদ্যকর(৫০)। তিনি মানকরের কোটা গ্রামের বাসিন্দা। উত্তেজনার খবর পেয়ে বুদবুদ থানার পুলিস হাসপাতালে গেলে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে বচসা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

    মৃতের পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে মাধববাবুর বুকে যন্ত্রণা ও শারীরিক অস্বস্তির জন্য মানকর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ইমার্জেন্সি থেকে জানানো হয় ডাক্তারবাবু সিজার করতে ব্যস্ত আছেন। তাই তাঁকে আউটডোরে দেখাতে হবে। মাধববাবু পরিজনদের সহায়তায় হেঁটে আউটডোরে যান। আউটডোর থেকে ফের তাঁদের ইমার্জেন্সিতে পাঠানো হয়। মৃতের ছেলে গোপাল বাদ্যকর বলেন, বাবাকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরই মারা যায়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতের প্রতিবেশী বাসুদেব আঁকুড়ে বলেন, বারবার আউটডোর আর ইমার্জেন্সি করতে করতে তাঁর শারীরিক অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। ডাক্তারের লিখে দেওয়া একটি ইঞ্জেকশন বাইরে থেকে কিনে আনার পর তা দেওয়া হয়। ডাক্তারদের অবহেলার জন্যই অকালে প্রাণ চলে গেল মাধববাবুর। এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান কমছে। অথচ এই হাসপাতালের উপর বহু গ্রামের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। এদিন রোগী পরিজনরা বলেন, যে ডাক্তারবাবুদের বিচারের জন্য আমরা মিছিল করছি। আজ তাঁদের গাফিলতির জন্যই আমাদের এই পরিণতি হল। এদিন হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ নেই বলেও অভিযোগ তোলা হয়। ডাক্তার ওষুধ লিখে দিলে তা বাইরে থেকে কিনতে হয় বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে এক্স-রে মেশিন খারাপ ও ডাক্তারের সংখ্যাও কম। পুলিস জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।এবিষয়ে জানতে হাসপাতালের সুপার অনিরুদ্ধ ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
  • Link to this news (বর্তমান)