• কাটোয়া স্টেডিয়ামেই গড়ে উঠবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স, পরিদর্শন বিধায়ক ও সাংসদের
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া স্টেডিয়ামের মাঠেই গড়া হবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সেখানে বাস্কেট বল থেকে ফুটবল সব কোর্টই থাকবে। এমনকী সুইমিং পুল তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কাটোয়া স্টেডিয়াম ঘুরে দেখলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ শর্মিলা সরকার। তিনি কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েই মাঠ পরিদর্শন করেন।

    ১৯৮২ সালে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু কাটোয়া স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তারপর ১৯৮৮ সালে ১২ একর জমির উপর তৈরি স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। খেলোয়াড়দের জন্য ঝাঁ চকচকে ড্রেসিং রুম সহ ১৭০০ আসন বিশিষ্ট দর্শক গ্যালারিও তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই স্টেডিয়ামের সংস্কার করে কাটোয়া পুরসভা। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় স্টেডিয়ামের দর্শক গ্যালারি ঝাঁ চকচকে হয়। পাশাপাশি খেলার মাঠেরও সংস্কার হয়। পুরানো গ্যালারি ভেঙে নতুন করে দর্শক গ্যালারি, খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম থেকে শুরু করে মাঠের চারিদিকে বাউন্ডারি সহ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। পুরো মাঠটি নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এবার সেই স্টেডিয়ামেই স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। তার প্রস্তাব সাংসদের কাছে এদিন দেওয়া হয়। 

    অন্যদিকে, এদিন দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন সাংসদ। সেখানে সুপার সহ নার্সিং স্টাফদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। নার্স কোয়ার্টার ও হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের জন্য সাংসদকে জানানো হয়। নার্সিং কোয়ার্টারেও যাতে নিরাপত্তা দেওয়া হয় তারজন্য চিকিৎসক সাংসদকে বলা হয়। তিনি আশ্বাস দেন। পাশাপাশি হাসপাতালে যেহেতু রোগীর চাপ বেশি থাকে, তাই রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের জন্য আরেকটি বিশ্রামাগার গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ২৮৬টি বেডের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সে জায়গায় ২৫৪টি বেড রয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালের চত্বরেই প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা খরচ করে একটি চারতলা নতুন ভবন গড়া হয়েছে। সেই নতুন ভবনের পরিকাঠামো বাড়ানোর জন্য সাংসদকে বলা হয়। এদিন শর্মিলা সরকার বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত আলো দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মী আরও বাড়ানোর জন্যও আমাকে বলা হয়েছে, আমি সেগুলি সাধ্যমতো দেখব। 

    প্রসঙ্গত, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে দু’টি পৃথক ঘটনায় দুই নার্সিং স্টাফের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। সেসবও জানানো হয় সাংসদকে। তারজন্য হাসপাতালের নতুন ভবনে আরও নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও বলা হয়। আর জি কর ঘটনার নিন্দা করে প্রাক্তনী সাংসদ শর্মিলা সরকার বলেন, ঘটনাটি খুবই খারাপ লাগছে। ওখানে আমিও রাতে ডিউটি করেছি। কিন্তু কোনওদিন সেখানে নিরাপত্তার অভাব বোধ করিনি। তবে এই ঘটনায় আমি দোষীর ফাঁসি চাই। 
  • Link to this news (বর্তমান)