• ফরাক্কা ও রানিনগরে ৮টি চোরাই বাইক উদ্ধার, ধৃত ৫
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর ও ডোমকল: এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটের হদিস! ফরাক্কায় চোরাই বাইক বিক্রি করতে এসে পুলিসের হাতে ধরা পড়েছিল বাইক চুরি চক্রের মূল পান্ডা সহ তিন যুবক। তাদের জেরা করে বৃহস্পতিবার আরও তিনটি চোরাই বাইক উদ্ধার করেছে পুলিস। এছাড়া, রানিনগর থানার পুলিস একটি চোরাই বাইকের খোঁজে তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চারটি বাইক উদ্ধার করেছে।

    ফরাক্কার ঘটনায় ধৃতদের নাম শরিফুল শেখ, আবদুল খাবির শেখ ও শারিফুল শেখ। প্রথমজনের বাড়ি সূতি থানা এলাকায়। বাকিরা সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিস জানিয়েছে, গত সোমবার মালঞ্চা ফিডার ক্যানাল ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তারা একটি চোরাই বাইক বিক্রি করতে এসেছিল। পুলিস তাদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের কথাবার্তা, বাইকের কাগজপত্রেও অসঙ্গতি লক্ষ করে পুলিস। বাইকের নম্বরের সঙ্গে চ্যাসিস নম্বর মিলছিল না। গ্রেপ্তার করে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেকের চারদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিসি হেপাজতে ওই তিন যুবক আরও তিনটি বাইক চুরির কথা স্বীকার করে। তারা ধুলিয়ান লাগোয়া একটি গ্যারাজে ওই সমস্ত বাইক রেখেছিল। বৃহস্পতিবার পুলিস ওই তিনটি বাইক উদ্ধার করেছে। ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।

    রানিনগর থানার পুলিস একটি বাইক চুরির তদন্তে নেমে সোমবার দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতেই চারটি চোরাই বাইকের হদিশ মেলে। বৃহস্পতিবার রাতেই ওই সমস্ত বাইক পুলিস উদ্ধার করেছে। ধৃতরা বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিসের অনুমান। এই চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিস তৎপরতা বাড়িয়েছে।

    পুলিস জানিয়েছে, সোমবার সকালে রানিনগরের কূপতলা থেকে একটি বাইক চুরি হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে ওই রাতেই রানিনগরের কাতলামারি রামনগরপাড়া থেকে রাজীব শেখ ও ইলশেমারি থেকে হাফিজুল শেখকে পাকড়াও করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের তিনদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস বৃহস্পতিবার রাতে কাতলামারিতে রাজীবের শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি বাইক উদ্ধার করে। আশপাশের মাঠ ও বাগান থেকে আরও তিনটি বাইক পুলিস উদ্ধার করেছে। তার মধ্যে একটি নামী ব্র্যান্ডের স্পোর্টস বাইক রয়েছে। কোনও বাইকেরই নম্বরপ্লেট ছিল না। পুলিসের অনুমান, ধৃত দু’জন প্রথমে আশপাশের এলাকা থেকে বাইক চুরি করে মাঠের কিংবা বাগানে লুকিয়ে রাখত। পরে সুযোগ বুঝে ভুয়ো নম্বরপ্লেট লাগিয়ে কিংবা গাড়ির রং পাল্টে বিক্রি করে দিত। এই চক্রের সঙ্গে অনেকে জড়িত আছে বলে পুলিস মনে করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)