• সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ডে আচমকা গঙ্গাভাঙন, আতঙ্ক
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ডে ফের একবার ভাঙনের আতঙ্ক ছড়ায়। একটি বাঁশ ঝাড় সহ কয়েক মিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। তার মাত্র কয়েক মিটার দূরেই রয়েছে জনবসতি। এভাবে গঙ্গার পাড় ধসে যাওয়ায় বাড়িঘরও ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে বেশ কয়েকটি পরিবার ঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছে। আরও বেশকিছু পরিবার এই পরিস্থিতিতে অন্যত্র সরে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন। সকলেরই নজর নদীর পাড়ের দিকে। বিপদ বুঝলেই তাঁরা ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসবেন। বৃহস্পতিবার সকালে সামশেরগঞ্জের ভাঙন এলাকায় পরিদর্শনে এসে রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের কড়া সমালোচনা করেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানে কোনও সরকারই তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ করেন সাংসদ। তিনি বলেন, দুই সরকার একে-অপরের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত। কাজের কাজ কিছুই করছে না। আমি পার্লামেন্ট এনিয়ে ফের সরব হব। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে উত্তর চাচণ্ডে ভাঙন দেখা দেয়। নদীর পাড় থেকে বড় বড় মাটির চাঁই ধসে জলে পড়তে থাকে। কয়েক মিটার এলাকা নিমেষেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর পাড়ে থাকা একটি বিশাল বাঁশঝাড় মুহূর্তের মধ্যে জলে তলিয়ে যায়। মাত্র কয়েক বছর আগেই লোকালয় থেকে কয়েক কিমি দূরে ছিল নদী। বর্ষার মরশুমে নদীর জল প্লাবিত হয়ে গোটা গ্রামকে ভাসিয়ে দিত। এর থেকে রক্ষা পেতে কয়েক বছর আগে মাটির উঁচু বাঁধ দেওয়া হয়। সেই বাঁধ প্রতি বছর বন্যার হাত থেকে গ্রামকে রক্ষা করত। সেই বাঁধই এখন উত্তর চাচণ্ডের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা। বাঁধের পরেই প্রায় ১০ মিটার দূরত্বে রয়েছে জনবসতি। কয়েকশো পরিবারের বসবাস সেখানে। বাঁধ নদীতে তলিয়ে গেলে বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। মাসখানেক আগেই পার্শ্ববর্তী নতুন শিবপুরে প্রায় ১০টি পাকা বাড়ি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। আরও প্রায় শতাধিক পরিবার আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

    সেই দৃশ্য সচক্ষে দেখেছে উত্তর চাচণ্ডবাসী। ফলে বেশকিছু পরিবার আগেভাগেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছে। অনেকে আত্মীয় পরিজনদের বাড়ি আশ্রয় নেন। আরও কিছু মানুষ জিনিসপত্র সরিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে রেখেছেন। বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধ বলেন, বাঁশঝাড় সহ কয়েক মিটার এলাকা তলিয়ে গিয়েছে। এখন মাটির বাঁধই একমাত্র ভরসা। আমরা ইরিগেশন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় নজর রাখতে বলা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)