• সন্দেহভাজনদের হাসপাতাল চত্বরেই চিহ্নিত করবে এআই
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি:  হাসপাতাল চত্বরে কারও সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই গোপন ক্যামেরা তাকে চিহ্নিত করে দেবে। কিংবা কেউ যদি হাসপাতালের করিডরে অপেক্ষা করতে করতে অসুস্থ বোধ করেন, সেটাও জানান দেবে ক্যামেরা। আসলে একাজ করে দেবে এআই প্রযুক্তি। হাসপাতালের ভিতরে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার এই উন্নত প্রযুক্তিরই সাহায্য নিতে চাইছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্যভবনের সবুজ সঙ্কেত পেলেই শুরু হয়ে যাবে কাজ।

    শুক্রবার স্বাস্থ্যভবনের একটি টিমের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদরা মেডিক্যাল চত্বর ঘুরে দেখেন। মূলত কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসালে কোনও ডার্ক জোন থাকবে না, কোথায় মনিটর রাখতে হবে, সেসব নিয়েই পরামর্শ দেন তাঁরা। একইসঙ্গে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে অতি সহজে হাসপাতাল চত্বরে বা ওয়ার্ডে ঢুকে পড়া সন্দেহজনকদের চিহ্নিত করা যায়, তাও জানান। বিষয়টি প্রস্তাব আকারে রাজ্যকে পাঠাচ্ছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। অনুমতি মিললে তা দ্রুত চালু করতে চাইছে তারা। মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে হাসপাতাল চত্বরে ঘোরাফেরা করা সন্দেহজনকদের সহজে চিহ্নিত করা যেতে পারে, সেব্যাপারে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি বেশ ভালো লেগেছে। আমরা রাজ্যকে জানাচ্ছি। অনুমোদন মিললে চালু করা হবে। তাঁর দাবি, শুধু সন্দেহজনক ব্যক্তি নয়, হাসপাতাল চত্বরে কেউ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে থাকতে অসুস্থবোধ করছেন কি না, সেটাও প্রযুক্তির সাহায্যে জানা যাবে। এতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

    এদিকে, শুক্রবার থেকে মেডিক্যালের ভিতরে দলবেঁধে ঢোকা ঠেকাতে কড়াকড়ি শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এতদিন মূল গেট হাট করে খুলে রাখা হতো। যে কেউ যখন খুশি হাসপাতালে ঢুকে পড়ত। বেশিরভাগ সময় হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর দেখা মিলত না। এদিন অবশ্য সেই ছবির উল্টোটাই দেখা গিয়েছে। যাঁদের রোগী ভর্তি আছেন, তাঁকে দেখতে যাওয়ার জন্য একটি কার্ডে একজনকেই হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

    অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি শুরু করতেই এক রোগীর কার্ড নিয়ে অন্য লোক ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার এমন একটি ঘটনা হাতেনাতে ধরেও ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর থেকে বাড়তি সতর্ক হয়েছেন তাঁরা। এদিকে মেডিক্যাল সূত্রের খবর, রাতে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় ১২টি সেফ জোন লোহার গ্রিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)