• উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে সাফাই অভিযানে নামল পুরসভা
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাত্র ১৫দিন সাফাই অভিযানের মাসুল তিন লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৩৫ টাকা! জঞ্জাল সাফাই নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রদান করা এমন বাজেটেই রাজি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার পুরকর্তৃপক্ষ ঝাড়ু, আর্থমুভার, ডাম্পার ও সাফাই কর্মী নিয়ে মেডিক্যালে দিনভর অভিযান করে। তা চলবে ১৫দিন।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমোদন নিয়েই পুরসভাকে  বরাত দেওয়া হয়েছে। মেয়র গৌতম দেব বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি শহরের বাইরে। তা হলেও সামান্য ফি-তে সেখানে সাফাই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই নিয়ে জটিলতা বহুদিনের। পাঁচ মাস আগে সেখানে জঞ্জাল সাফাই অভিযান করে পুরসভা। সেবার বিল মেটানোর পর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ আর সাফাইয়ের উদ্যোগ নেয়নি। যার জেরে, হাসপাতালের জমেছে আবর্জনার স্তূপ। পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। অভিযোগ, দুর্গন্ধের জেরে হাসপাতাল চত্বরই রোগের আঁতুর ঘরে পরিণত হয়েছে। 

    পুরসভা সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সাফসুতরো করতে ৩০জন সাফাই কর্মীর টিম নামানো হয়েছে। ওই টিমে ২৮ জন শ্রমিক এবং দু’জন সুপারভাইজার রয়েছেন। প্রত্যেকেই চা বাগান এলাকার শ্রমিক। দৈনিক তাঁদেরকে ৩০৩ টাকা মজুরি প্রদান করা হবে। ১৫দিনে তাঁরা গোটা হাসপাতাল চত্বর ঝাঁ চকচকে করে তুলবেন। এজন্য তাঁদেরকে মাস্ক, গ্লাভস, জ্যাকেট, গামবুট, ঝাঁটা, ট্রলি, ডাম্পার, আর্থমুভার দেওয়া হয়েছে।  

    এই ব্যাপারে পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য মানিক দে বলেন, পাঁচ মাস আগ মেডিক্যাল কলেজের জঞ্জাল সাফা‌ই করেছিলাম। সেই সময় তারা তিন লক্ষ টাকা বিল প্রদান করেছে। এবারও তারা সাফাই অভিযানের খরচ মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। সেজন্যই অভিযানে নামা হয়েছে। ১৫দিন পর তারা আবার খরচ দিলে অভিযান চলবে।

    রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজগুলির মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল অন্যতম। এই মেডিক্যাল কলেজ গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ১০৪ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে। মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল শহরে অবস্থিত। পুরসভাই নিয়মিত সেগুলির জঞ্জাল সাফাই করে। কিন্তু, এই কলেজ গ্রামীণ এলাকায়। নিয়মিত সাফাই অভিযান চালানোর মতো পরিকাঠামো গ্রামীণ প্রশাসনের নেই। তাই রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়ে নির্দিষ্ট ফি-র বিনিময়ে জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য পুরসভার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে, এখানে সলিডওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট গড়া হচ্ছে। তা নির্মাণ হওয়ার পর এই সমস্যা কিছুটা মিটবে। জঞ্জাল সাফাই নিয়ে খরচও কমবে।
  • Link to this news (বর্তমান)