• মাথাভাঙার দুই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে জয়েন্ট বিডিও পরিচয়ে টাকা চাইল প্রতারকরা
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: এবার সাইবার প্রতারণার ছায়া মাথাভাঙায়। মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা চাইল প্রতারকরা। একইভাবে টাকা চাওয়া হয়েছে নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছেও। সবাইকে ফোন করে জয়েন্ট বিডিও পরিচয়ে চাকরির টোপ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিষয়টি প্রধানরা মাথাভাঙা থানা ও বিডিও অফিসে জানিয়েছেন। ব্লক প্রশাসনের তরফে গোটা বিষয়টি ভুয়ো বলে জানানো হয়েছে। 

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে একই ভাবে শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন প্রধানকে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা চেয়েছিল প্রতারকরা। এদিন পচাগড় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্যাণী রায় ও প্রধান কুন্তি বর্মনের ফোনে একটি আচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। দু’জনকে জানানো হয়, ‘আমি জয়েন্ট বিডিও সাহেব বলছি। এখন জেলায় রয়েছি। তোমাদের এলাকায় পঞ্চায়েত ও ব্লক আফিসে একজন করে লোক নেওয়া হবে। সময় খুব কম, আজকেই কাগজপত্র পাঠাও।’ এরপর দ্বিতীয়বার ফোন করে বলা হয় ‘দু’জনের নামে কোটেশন কাটতে হবে, এজন্য ৩৪ হাজার টাকা লাগবে। 

    একটি ফোন পে নম্বর দিচ্ছি, দ্রুত টাকা পাঠাও।’ প্রথমে সন্দেহ না হলেও টাকা চাওয়াতে সন্দেহ হয়। এরপরেই তাঁরা জয়েন্ট বিডিওকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। তিনি জানিয়ে দেন গোটা বিষয়টি প্রতারণা। পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্যাণী রায়, ফোন নম্বর সহ বিষয়টি মাথাভাঙা থানার পুলিসকে জানিয়েছেন।

    মাথাভাঙা-১ বিডিও শুভজিত মণ্ডল বলেন, দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে এধরনের ফোন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রধানরা আমাদের ফোন করার পর বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সর্তক করা হয়েছে। আমরা এনিয়ে পুলিসকেও জানিয়েছি। মাথাভাঙা থানার পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। 

    পচাগড়ের উপপ্রধান কল্যাণী রায় ও নয়ারহাটের প্রধান মাম্পি বর্মন বলেন, আমাদের কাছে টাকা চাওয়াতে সন্দেহ হয়। এরপর আমরা বিডিওকে জানাই। দুজনের নামে নথিপত্র জোগাড় করে পাঠিয়েছিলাম। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেই নম্বরটি বিডিও সাহেবকে দিয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)