• এবার লাই ডিটেক্টর টেস্টে রাজি সঞ্জয়ও
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লাগাতার জেরাতেও কাটেনি ধোঁয়াশা। তাই এবার হবে লাই ডিটেক্টর বা পলিগ্রাফ টেস্ট! সিবিআইকে এই শেষ অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি আগেই দিয়েছিল আদালত। এবার সম্মতি মিলল অভিযুক্তের তরফে। ফলে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে পলিগ্রাফ টেস্টে বসতেই হচ্ছে। শুক্রবার বিচারকের সামনে সে এই পরীক্ষায় রাজি হয়েছে। সিবিআই হেফাজত শেষে এদিনই সঞ্জয়কে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

    কিন্তু সঞ্জয় কি একাই ওই তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুন করেছে? সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে চলেছে সিবিআই। তাদের দাবি, ঘটনাস্থলের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ডিজিটাল নথি ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দশ  দিন  কেটে গেলেও এজেন্সি এমন কোনও তথ্য পায়নি, যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহ একাধিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারপরেও ঘটনায় অন্য কারও যোগ প্রতিষ্ঠা পায়নি। এই অবস্থায় তাদের ভরসা পলিগ্রাফ টেস্ট ও ফরেন্সিক রিপোর্ট। 

    পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি আদায়ের জন্য সঞ্জয়কে আদালতে হাজির করাতেই হতো। নিরাপত্তার অজুহাতে এতদিন তা পারেনি সিবিআই। শুক্রবার বিচারকের সামনে সে সম্মতি দিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এজলাসের পরিবর্তে শিয়ালদহ আদালতের এসিজেএম শুভজিৎ রক্ষিতের চেম্বারে হাজির করানো হয় তাকে। সিবিআইয়ের কাছে তাকে আরও একদিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা না চাওয়ায় তাদের তদন্তে যে অগ্রগতি হয়নি, সেটা কার্যত স্পষ্ট। জানা যাচ্ছে, পলিগ্রাফ টেস্ট ও ফরেন্সিক রিপোর্টে ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু মিললে তখন ওই একদিন হেফাজতের সুযোগ নেবেন তদন্তকারীরা। 

    সূত্রের খবর, হেফাজতে থাকাকালীন সঞ্জয় তদন্তকারীদের জানিয়েছে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ আগস্ট  ভোর ৬টা নাগাদ সে চতুর্থ তলে যায়। সেখানে এক পরিচিতকে দেখে লন দিয়ে ফেরার সময় খেয়াল করে, সেমিনার হলের দরজা খোলা। ধৃতের আরও দাবি, সে হলের ভিতরে ঢুকেছিল। কিন্তু কাউকে দেখতে পায়নি। গোটা ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও সঞ্জয় ওই সময় হাসপাতালের ভিতরে কাউকে দেখতে গিয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ সিবিআই পায়নি। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অন্য জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের থেকে ওই সিভিক আগেই জেনেছিল এক তরুণী নাইটে রয়েছেন। কিন্তু কারা সেই খবর দিয়েছিল? পলিগ্রাফের সম্মতি দেওয়া চার জুনিয়র ডাক্তার? নাকি অন্য কেউ? পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে মরিয়া সিবিআই।
  • Link to this news (বর্তমান)