• ট্রেন থেকে কয়েক লক্ষের কেভিপি, এনএসসি উধাও, ২৩ বছর পর রায়
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০০১ সালের ঘটনা। ট্রেনে করে নাসিক থেকে এ রাজ্যে আসছিল লক্ষ লক্ষ টাকার কিষাণ বিকাশ পত্র (কেভিপি) ও ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি)। নিরাপত্তা রক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে খোয়া যায় ওই বিপুল সরকারি শংসাপত্র। ওই নথি পরবর্তীকালে একটি চক্রের মাধ্যমে চলে যায় অসাধু মানুষজনের হাতে। তারা সেই নথি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রচুর টাকা ঋণ নেয়। তদন্তে নেমে পুলিস দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করে। ঘটনার ২৩ বছর পর আলিপুর আদালত সম্প্রতি সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছে। বিশেষ সরকারি আইনজীবী প্রদীপ সাধুখাঁ শুক্রবার বলেন, এই মামলায় অভিযুক্ত দশজনের মধ্যে ছ’জন মারা গিয়েছেন। বাকি চারজনের ম঩ধ্যে একজন প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়েছেন। বাকি তিন অভিযুক্তের মধ্যে একজন অসুস্থ, বাড়িতেই শয্যাশায়ী। ফলে তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি দু’জনকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। তার মধ্যে একজনের বয়স ৯০ ছুঁই ছুঁই। তাকে ৮৪ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি গ্রেপ্তারের পর এই পর্ব জেল হাজতেই কাটিয়েছিলেন। ফলে নতুন করে আর তাঁকে কারাভোগ করতে হবে না। অন্যজন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এক বছর পর তাঁর যাবতীয় মেডিক্যাল রিপোর্ট কোর্টে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতের বক্তব্য, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর দোষী সাব্যস্ত এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাজার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় সাক্ষীরাও অনেকে মারা গিয়েছেন। সরকারি আইনজীবীর কথায়, ‘নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত যে এই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, এটাই বড় কথা’। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি থেকে প্রচুর সোনা পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে কোর্টের নির্দেশে সরকারি কোষাগারে পাঠানো হয়েছিল’। আসামিদের আইনজীবীদের বক্তব্য, ‘আমাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল’।
  • Link to this news (বর্তমান)