• আলুর দাম আকাশছোঁয়া, হাওড়া বাজারে হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও টাস্ক ফোর্সের
    বর্তমান | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: কোথাও আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, কোথাও ৪০ টাকায়। বাজারে আলু কিনতে গিয়ে যেন হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত! দাম বেড়েছে অন্যান্য সব্জিরও। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার হাওড়ার একাধিক বাজারে অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। সরকারি নির্দেশিকা না মানলে খুচরো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি স্থানীয় থানাগুলিকেও নিয়মিত নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এদিন সকালে হাওড়ার কালীবাবুর বাজার, ব্যাতাইতলা বাজার সহ বেশ কয়েকটি বড় বড় বাজারে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও টাস্ক ফোর্স। চন্দ্রমুখী ও জ্যোতি আলুর আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে আধিকারিকদের সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন ক্রেতারা। জানা গিয়েছে, পাইকারি ও রিটেইল বাজারে আলুর দাম ২৭ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খোলা বাজারে এসে লাগামছাড়া হয়ে পড়ছে। জ্যোতি আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে। চন্দ্রমুখীর দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকার নীচে কোথাও নেই। রসুনের দামও আকাশ ছুঁয়েছে। তবে বেগুন ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘রাজ্য সরকার দাম বেঁধে দিলেও খুচরো ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। সুযোগ বুঝে মাত্রাতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করছেন তাঁরা। সরকারি নির্দেশিকা না মানলে এবার আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।

    এদিন ব্যাগ হাতে বাজারে আসা অনেকেই ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘প্রশাসনের তরফে বাজারে অভিযান চালানোর পর মাত্র দু’দিন দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। তারপর আবার যে কে সেই। এভাবে চললে মধ্যবিত্তরা সংসার চালাবেন কী করে?’ খুচরো ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ইনসপেক্টর সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘সরকার প্রতিটি আনাজের দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তাসত্ত্বেও অনেক খুচরো ব্যবসায়ী বেঁধে দেওয়া দামে আনাজ বিক্রি করছেন না। এতে ক্রেতারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এভাবে চলবে না’। ভবিষ্যতে যদি কোনও ব্যবসায়ী চড়া দামে আলু বিক্রি করেন, তাহলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
  • Link to this news (বর্তমান)