রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ঘরে বসে নয়, লাগাতার মাঠে থাকতে হবে। তাই রাজনৈতিকভাবে এবার আর জি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। জেলায় জেলায় ভাঙা সংগঠন ও ধসে পড়া ভোটব্যাঙ্ক চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাকে হাতিয়ার করে দলের পালে হাওয়া তুলতে মরিয়া আলিমুদ্দিন। রাজ্য কমিটির বৈঠকেও মাঠে থেকে লাগাতার আন্দোলন চালানোর সিদ্ধান্তই হয়েছে। কিন্তু পার্টিরই আবার একাংশের প্রশ্ন, যতই কোনও ইস্যুকে নিয়ে হইচই করা হোক, ভোট আর বাড়ছে কোথায়?
এদিকে আর জি কর ইস্যুতে আন্দোলন জারি রাখতে শনিবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠন। আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ সিপিএমের ছাত্র ও যুব নেতানেত্রীদের নোটিস পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। শনিবার সেই নোটিস নিয়ে লালবাজারে যাবেন মীনাক্ষীরা। পালটা অভিযোগ দায়ের করা হবে পুলিশের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্যের জন্য পুলিশ যাদের ডেকেছিল, তাদের অনেককে নিয়েও আইনজীবী-সহ লালবাজারে যাবে সিপিএমের ছাত্র-যুব নেতৃত্ব।
শুক্রবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, প্রতিবাদের কন্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই পালটা অভিযোগ দায়ের হবে পুলিশের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ১ সেপ্টেম্বর বরাবরের মতো হয়ে আসা বামফ্রন্টের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মিছিলেও এবার মূল ইস্যু থাকবে আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড। তা নিয়ে বামফ্রন্টের শরিকদল ও অন্য বামদলগুলির সঙ্গে আলোচনা করবে সিপিএম।
১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মিছিল ও বড়া সমাবেশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিনের তরফে। সেলিম জানিয়েছেন, ‘‘এবার ১ সেপ্টেম্বরকে আমরা রাজ্য এবং দেশে শান্তির জন্য পালন করতে চাই। আর জি করের বিচারের দাবিই মুখ্য হওয়া উচিত। সেই মর্মেই আমরা বামফ্রন্টে আলোচনা করব।’’ পার্টির একাংশের কথায়, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবস পালন ও মিছিল করেও সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ে না। কাজেই এবার সেই মিছিলের ইস্যুরল অভিমুখ করা হোক আর জি করের ঘটনার দিকে।