এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে গত ১৪ অগস্ট রাতে ভাঙচুরের ঘটনার আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তি এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্রে এদের চিহ্নিত করা হয় বলে পুলিশের দাবি। এ নিয়ে এই ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে হলো ৩৯।একই সঙ্গে আরও ১১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে লালবাজার। এদের মধ্যে কয়েকজন শহরের বাইরে পালিয়ে গেলেও তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক কর্তা। গত ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক তরুণী চিকিৎসককে।
সেই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ তারিখ ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দেন মহিলারা। তবে শান্তিপূর্ণ সেই আন্দোলনের মধ্যেই চলে হাসপাতালে ভাঙচুর। মারধর করা হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদেরও। ঘটনার তদন্তে নেমে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে কলকাতা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতের হামলার ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে সংগ্রহ করে লালবাজার। সেই ফুটেজে ঘটনার পরদিন, অর্থাৎ ১৫ তারিখ সকালে কলকাতা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। হামলাকারীদের ছবি দিয়ে সকলের কাছে অনুরোধ করা হয়, এদের বিষয়ে কোনও তথ্য থাকলে আমাদের জানান।
সেই পোস্ট দেখে শহরের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা হামলাকারীদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন বলে দাবি লালবাজারের কর্তাদের।এদিকে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার দু’সপ্তাহ পার হয়ে গেলও সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়া নতুন কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি সিবিআই। তদন্তের অগ্রগতি কতদূর, তা-ও স্পষ্ট নয় নির্যাতিতার পরিবার থেকে আন্দোলনকারীদের কাছে।