মিছিলের পরই হাওড়ার ৩ স্কুলকে শোকজ জেলা স্কুল পরিদর্শকের
প্রতিদিন | ২৪ আগস্ট ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রতিবাদে ফুঁসছে প্রায় গোটা দেশ। মিছিলে শামিল আট থেকে আশি সকলেই। মিছিলের পরই হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের নোটিস পেল হাওড়ার তিন স্কুল। হাওড়ার বালুহাটি হাইস্কুল, বালুহাটি গার্লস হাইস্কুল এবং ব্যাঁটরা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
ওই নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন গত শুক্রবার স্কুলের সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা মিছিলে শামিল হয়েছিলেন? কয়েকজন পড়ুয়াকে রীতিমতো ভয় দেখিয়ে মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করা হয় বলেও নোটিসে দাবি। তার ফলে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানাতে হবে। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শক।
সলতে পাকানো শুরু হয় অবশ্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে। স্কুল চত্বরের বাইরে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়ারা যোগ দিতে পারবে না বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ জারি করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ডিআই (স্কুল)। শুক্রবার এক ধাপ এগিয়ে স্কুল শিক্ষা কমিশনার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ক্যাম্পাসে ‘কর্পোরাল পানিশমেন্ট’যে নিষিদ্ধ তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, স্কুলের শিক্ষক থেকে অশিক্ষক কর্মী কেউই পড়ুয়াদের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করতে পারবেন না। বিজ্ঞপ্তির শেষ লাইনে জানানো হয়, স্কুল পড়ুয়াদের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ানো যাবে না।
এর পর শুক্রবার নবান্নের তরফে সাফ জানানো হয়, রাস্তা অবরোধ হোক বা মিছিল। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে বা মদতে হওয়া কোনও কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়ারা অংশ নিতে পারবে না। নবান্নের নির্দেশ, এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও ঘটলে তা খুঁজে বের করে বন্ধ করতে হবে। এবং যাঁরা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। এই নিয়ে জেলাশাসকদের আলাদা করে সতর্ক করেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। স্পষ্ট বার্তা দেন, রাস্তা অবরোধ-সহ একাধিক কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়াদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না।
কোথায় এমন ঘটছে তা খুঁজে বের করে এমন প্রবণতা ঠেকাতে হবে। কড়া পদক্ষেপ করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নবান্নের নির্দেশ, স্কুল শিক্ষাদপ্তরের কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না কোনও পড়ুয়া। এমনকী, স্কুলের বাইরেও এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। কোথাও এমন কী ঘটছে, তার উপর খোঁজ রাখতে হবে জেলা প্রশাসনকে। আর এই নির্দেশিকার পরই হাওড়ার তিন স্কুলকে নোটিস জেলা স্কুল পরিদর্শকের।