মুষল ধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে SFI, DYFI এবং মহিলা সমিতির নেতৃত্বে লালবাজার অভিযান। আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ সাতজনকে তলব করা হয়েছিল। তলবের প্রতিবাদেই এদিন গণহাজিরা দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করে বামেরা। বাম নেতৃত্বের সঙ্গে আইনজীবীরা লালবাজারে হাজির হন। আরজি করের হামলার ঘটনায় পুলিশ আসল অপরাধীদের ধরতে ‘ব্যর্থ’ বলে দাবি করা হয় বাম নেতৃত্বের তরফে।SFI-DYFI-এর মিছিলকে আটকানোর জন্য পুলিশের তরফে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। গোটা এলাকা জুড়ে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। যে SFI-DYFI নেতা-কর্মীরা পুলিশের নোটিশ পেয়েছেন তাঁদের মিছিলের সামনের সারিতে রেখে ব্যারিকেডের দিকে এগোনো শুরু করল মিছিল। যদিও, বাম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করবে। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্য, পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক সহ আইনজীবীরা।
মিছিল থেকে এদিন মীনাক্ষী বলেন, ‘বামপন্থীরা ভয় পায় না। বামপন্থীরা যদি ভয় পেট সেদিন নিজেদের বুক দিয়ে, ছাত্র, যুব-মহিলারা মৃতদেহকে আটকে দিত না। যদি তাঁরা ভয় পেত, তাহলে সেমিনার হল ভাঙার প্রথমদিন আমরা আটকে দিতাম না। এবার যদি মনে হয় আমাদের অপরাধ হয়েছে, এই অপরাধ আমরা বারবার করব।’ ভাঙচুরের ঘটনায় আসল অপরাধীদের বাঁচাতে ‘নাটক’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে বৃষ্টির কারণে প্রায় এক হাঁটু জল জমে যায়। তার মধ্যেই এগিয়ে যায় মিছিল। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ বাম নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হাজির হন ৩০ জন আইনজীবী। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে এক দোল বহিরাগত ঢুকে ভাঙচুর চালায়। হাসপাতালের ভেতরে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়। আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মী।
এরপরেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে সমাজমাধ্যমে দোষীদের ধরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। সেই সময় একটি ভিডিয়ো দিয়ে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, আরজি করে প্রতিবাদীদের মধ্যে DYFI-এর পতাকা দেখা গিয়েছে। সেই কারণে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ সাতজনকে পুলিশের তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল। সেই সমনের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন মিছিল করে বাম নেতা-কর্মীরা লালবাজার অভিযান করে।