'ফিট' বাসের 'আয়ু' বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে আদালতে যাচ্ছে রাজ্য
এই সময় | ২৪ আগস্ট ২০২৪
‘ফিট’ থাকলে বাণিজ্যিক বাস চলাচলের মেয়াদ ১৫ বছরের থেকে বাড়ানো হোক, এই আর্জি নিয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে চলেছে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর। সম্প্রতি সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মোতাবেক, ১৫ বছরের পুরনো বাস বা বাণিজ্যিক পরিবহণ তুলে নিতে হয়।কিন্তু, ১৫ বছর পর যে সমস্ত বাস 'ফিট' রয়েছে সেগুলি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক, সম্প্রতি বাস মালিকদের একাংশ এই দাবিতে কড়া নেড়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরে। তাঁদের যুক্তি ছিল, 'করোনার জন্য দুই বছর বাসের চাকা গড়ায়নি। কিছু বাস ১৫ বছর পরও ফিট। ফলে তা তুলে নেওয়া হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা।' এবার এই বিষয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়ার কথা চিন্তা করছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
তিনি জানান, বাস মালিক সংগঠনরা অনুরোধ করেছেন অনেক বাস ১৫ বছরের হলেও বাসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেক্ষেত্রে যদি সেই বাসগুলিকে চালানো যায় সেই আবেদনও করা হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে পরিবহণ দপ্তর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিবহন মন্ত্রী আরও জানান, গ্রিন ট্রাইবুনাল আইন অনুযায়ী প্রতি ১৫ বছর অন্তর বাস পরিবর্তন করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ১৫ বছরের পরেও অনেক বাস 'ফিট'। সেক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ হবে না এমন কোনও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাসগুলি ফের চালানো যায় কিনা, সেই বিষয়ে আবেদন করা হবে। পাশাপাশি, পরিবেশ দূষণ যাতে না ঘটে সেই জন্য পুরনো বাসগুলির ইঞ্জিন বদল করে তা ব্যবহার করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে দিশা দেখানোর জন্যও আদালতের কাছে আর্জি জানানো হবে বলে জানান তিনি।
শ্রীরামপুর মহকুমার বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক রঞ্জন প্রামানিক বলেন, '১৫ বছর পুরনো বহু গাড়ির স্বাস্থ্য ভালো। কোভিডের সময় প্রায় তিন বছর গাড়ি চলাচল করেনি সড়কে। ফলে মালিকদের ব্যবসার ব্যপক ক্ষতি হয়। সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করে যদি ১৫ বছরের পরেও বাস চলাচলের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়, সেই জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল।'