২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট আলিপুর জেলে ফাঁসি হয়েছিল ভবানীপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। সঞ্জয়ের গ্রেফতারির পর আরজি করের তদন্তভার তখনও কলকাতা পুলিশের হাতে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘একটাই শাস্তি। ফাঁসি দিয়ে দাও, যাতে এক জনকে ফাঁসি দিলে অন্যেরা কিছু করার আগে ভয় পায়। কিন্তু এটা আমি নিশ্চয়ই বলব, প্রকৃত দোষী যেন শাস্তি পায়। নিরাপরাধী যেন না পায়। কারণ, এখন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের কেসটা প্রতি দিন লেখা হচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর কথার জের ধরে শনিবার চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘দেখতে হবে ধৃত যেন ধনঞ্জয় না হয়ে যায়। অতীতে ধনঞ্জয়কে যে ভাবে ফাঁসির কাঠে ঝুলতে হয়েছে, সেখান থেকে অনেক পয়েন্ট বেরিয়ে আসছে। ধনঞ্জয় দোষী ছিল কি না সন্দেহ রয়েছে। তাই আরজি করের ঘটনায় ধৃত আদও দোষী কি না, না কি তার পিছনে আর কেউ রয়েছে তা তদন্তসাপেক্ষ।’
চন্দ্রনাথের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, ‘সঞ্জয়কে ধনঞ্জয় করে সন্দীপদের এনজয় করার সুযোগ করে দিয়েছেন চন্দ্রনাথবাবুরা।’
বলে রাখি, আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশই। কলকাতা পুলিশের ব্যারাক থকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে।