• সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে লেখা ‘la ilaha illallah’, উত্তেজনা কোচবিহারে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • প্রশ্নপত্রে জলছাপে লেখা ‘la ilaha illallah’। আর তাতেই সরকারি শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠল কোচবিহারে। সরকার পোষিত স্কুলের প্রশ্নপত্রে কেন ইসলামিক ধর্মীয় বাণী লেখা হল তা নিয়ে সরব হয়েছে জেলার শিক্ষামহল। অভিযোগ জমা পড়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে। স্কুল পরিদর্শক সমরচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘কেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কাজ করল তা জানতে চাওয়া হবে।’ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    ঘটনা কোচবিহারের কালাপানি রাজমোহন হাইস্কুলের। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলটিতে প্রায় ৬০০ ছাত্র রয়েছে। গত ১২ অগাস্ট থেকে স্কুলের সামেটিভ পরীক্ষা শুরু হয়। সেখানে দেখা যায়, নবম ও দশম শ্রেণির জীবনবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের মাঝখানে জলছাপে লেখা ‘la ilaha illallah’। তার নীচে লিখেছেন নিজের নাম ‘samad sir’.

    জানা গিয়েছে সামাদ নামে ওই শিক্ষক স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলি পড়ান। স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা কম থাকায় একাই নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের তিনটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরি করেন তিনি। গণিত প্রশ্নপত্রেও একই কাজ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার গণিত পরীক্ষার শেষে বিষয়টি নিয়ে স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায়। সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে কেন ধর্মীয় বাণী তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা। তাঁদের প্রশ্ন, প্রধান শিক্ষকের নজর এড়িয়ে কী ভাবে ধর্মীয় বাণী লেখা প্রশ্নপত্র ছাত্রদের মধ্যে বিলি হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

    জানা গিয়েছে স্কুলে মোট ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। একাধিক বিষয়ে শিক্ষকের শূন্যপদ খালি রয়েছে। ফলে অন্য বিষয়ের শিক্ষকদের সেগুলি পড়াতে হয়। এই নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে কালপানি রাজমোহন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিক জানান, ‘আমাদের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নেই। সামাদবাবুই প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। তিনি পেনড্রাইভে করে প্রশ্নপত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন। ছাপানোর সময় জলছাপের মধ্যে যে ধর্মীয় বাণী লেখা রয়েছে তা চোখে পড়েনি। বিষয়টি নিয়ে পরিচালন সমিতির সঙ্গ বৈঠকে বসব। কেন ওই শিক্ষক প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় বাণী লিখলেন তা জানতে চাইব তাঁর কাছে।’

    ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের। শিক্ষেত্রের ইসলামিকরণের এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে এখুনি প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা উচিত। অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা উচিত রজ্য সরকারের। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)