শুক্রবার মুন্সিডাঙার কাপড় ব্যবসায়ী নাসিম সরদারের মৃত্যু হয়। কিডনি বিকল হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। চিকিৎসক জানান যে ভাবে তাঁর কিডনি বিকল হয়েছে তা সন্দেহজনক। এর পরই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। জানা যায়, নাসিমের আগে থেকেই কিছু অসুস্থতা ছিল। সেজন্য স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে ডাক্তার দেখাতেন তিনি। ওষুধের দোকানদার শেখ মোরসেলেম এক কর্মচারীর মাধ্যমে নাসিমের কাছে ওষুধ পাঠাতেন। সেই কর্মচারী যে ওষুধ তাঁকে দিয়ে পাঠানো হচ্ছে তার ছবি তুলে রাখতেন নিয়মিত।
সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় নাসিমকে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু যে প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে নাসিমের চিকিৎসা চলছিল তার সঙ্গে তাঁর উপসর্গ মিলছিল না। এর পরই নাসিম কী ওষুধ খাচ্ছেন তা দেখতে চান চিকিৎসক। তখন ওষুধের দোকানের কর্মচারী তাঁর ফোনে তুলে রাখা ওষুধের ছবি দেখান। এর পর চিকিৎসক জানান, ইচ্ছা করে নাসিমকে দিনের পর দিন ভুল ওষুধ পাঠিয়েছেন মোরসেলেম। তার জেরেই নাসিমের কিডনি ও হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এর পর জানা যায়, ডাক্তার দেখাতে গিয়ে নাসিমের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মোরসেলেমের। এর জেরেই পরিকল্পিতভাবে ভুল ওষুধ খাইয়ে নাসিমকে খুন করেছে সে।
এই খবর চাউর হতেই মুন্সিডাঙায় উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার রাতে অভিযুক্তের ওষুধের দোকান ও বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডোমজুড় থানার পুলিশ। নামে ব়্যাফ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। নাসিমের স্ত্রীকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।