প্রতিবাদের যে এতরকমফের হতে পারে তা অনেক দিন পরে দেখল দেশ। ফ্রাঙ্কফুট থেকে ফাঁসিদেওয়া, ডাবলিন থেকে ডায়মন্ডহারবার সর্বত্র প্রতিবাদ। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। তবে এবার এই প্রতিবাদের দিন হিসাবে জন্মাষ্টমীর দিনটাকে বেছে নিচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আসলে যখনই অধর্ম নেমে আসে তখনই তো ধরাধামে অবতীর্ণ হন শ্রীকৃষ্ণ। এটাই বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকেই মানুষ ভরসা পান। যাঁর কেউ নেই তাঁর নাকি তিনি আছেন। আর বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবার জন্মাষ্টমীতে মিছিল করবে। আর সেই মিছিল থেকে উঠবে বিচার চাই স্লোগান।
গোটা বিশ্বজুড়ে আজ আওয়াজ উঠেছে উই ওয়ান্ট জাস্টিস। সেই সুরে এবার সুর মেলাবে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। তবে সেটা একেবারে অভিনব উপায়ে। সংগঠনের তরফে ছোটদের কৃষ্ণ সাজিয়ে বের করা হবে। দুষ্টের দমনে কৃষ্ণের যে ভূমিকার কথা বার বার নানা পৌরানিক কথায় উল্লেখ করা হয় সেই কৃষ্ণের কথাই তুলে ধরা হবে প্রতিবাদ মিছিলে।
তবে শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের সমস্ত জেলায় এই ধরনের মিছিল করবে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্ব বলছেন নারীর সম্মান রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণরূপী জনতাকে প্রয়োজন। এই কৃষ্ণ পথ দেখাবেন। এই কৃষ্ণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন। তবে বিশ্বহিন্দু পরিষদের এই উদ্যোগে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই সম্ভবামি যুগে যুগের সেই আপ্তবাক্যের কথা।
সূত্রের খবর, আপাতত ঠিক করা হয়েছে, সংগঠনের দফতরের সামনে ছোটদের কৃষ্ণ সাজানো হতে পারে। আবার কোথাও মিছিল হতে পারে। তবে মূল সুরটা থাকবে প্রতিবাদের। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদের।
এদিকে ছাত্র সমাজ নাম দিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযান। সেই নবান্ন অভিযানে নামছে বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের মতো কোনও রাজনৈতিক দল নয়। সেই নবান্ন অভিযানে নামছে ছাত্র সমাজ। কোথাও কোনও রাজনৈতিক ব্যানার থাকবে না।এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
ইতিমধ্য়েই শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে উদ্যোক্তারা তাঁদের পরিচয় দিয়েছেন।