• ‘চার বার মদ্যপানের পর ২ বার যৌনপল্লি ঘুরে এসে কারও দেহে খুন করার শক্তি থাকে?’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ওই রাতে সঞ্জয়ের খুন করার ক্ষমতা ছিল কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। এর পিছনে অন্য কেউ বা কারা জড়িত।

    সুকান্তবাবু বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে ওই রাতে সঞ্জয় চার বার মদ্যপান করেছিল। ২ বার যৌনপল্লিতে যায়। এর পর একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ সবল তরুণীকে খুন করার মতো শক্তি তার গায়ে ছিল কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

    তিনি বলেন, এই ঘটনার পিছনে অন্য কেউ বা কারা যুক্ত থাকতে পারে। নইলে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য তড়িঘড়ি বৈঠক করবেন কেন?

    গত ৯ অগাস্ট রাতে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারক থেকে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের হেডফোনের ছেঁড়া অংশ নিহত চিকিৎসকের দেহের পাশে পাওয়া যায় বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর সঞ্জয়কে হেফাজতে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। গতকালই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে শিয়ালদা আদালত। এর পর অভিযুক্তের ঠাঁই হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে।

    সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার রাতে আরজি কর মেডিক্যালে এসে বেরিয়ে যায় সঞ্জয়। এর পর হাসপাতালের পাশেই কোথাও মদ্যপান করে সে। এর পর চেতলার একটি যৌনপল্লিতে গিয়েছিল অভিযুক্ত। সেখানে সে ফের মদ্যপান করলেও কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়নি। এর পর আরজি করে ফিরে এসে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)