• ‘‌‌আমি নির্দোষ, কিছু করিনি’‌, শিয়ালদা আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের স্বপক্ষে বয়ান সঞ্জয়ের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও তদন্ত করছে সিবিআই। তাই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন সিবিআই হেফাজতে। সেখানে তাকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীনই সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ বা লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা করা হবে। এই পরীক্ষায় রাজি হয়েছে সঞ্জয় রায়। বিচারকের সামনে সে এই পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছে।

    কিন্তু কেন এই পরীক্ষা দিতে রাজি হল সঞ্জয়?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী বিচারকও তা জানতে চেয়েছিলেন। সঞ্জয়ের জবাব ছিল, ‘‌আমি নির্দোষ। আমি কিছু করিনি। আমাকে নিশানা করা হয়েছে। এই পরীক্ষা হয়তো তার জন্য। আমি যে নির্দোষ এই পরীক্ষায় হয়তো তা প্রমাণ হবে।’‌ সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী কবিতা সরকার পলিগ্রাফ পরীক্ষা সম্পর্কে বুঝিয়ে ছিলেন অভিযুক্তকে। তারপরও এমন মন্তব্য বেশ চাপে ফেলে দেয় সিবিআইকে। একাই কি ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ–খুন করেছে সঞ্জয়? এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যার উত্তর হাতড়ে চলেছে সিবিআই। তাদের দাবি, ঘটনাস্থলের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ায় ডিজিটাল নথি ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ১০ দিন কেটে গেলেও সিবিআই এমন কোনও তথ্য পায়নি, যেটা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

    সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, মিথ‌্যা কথা বলছে সঞ্জয় রায়। হেফাজতে থাকাকালীন নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ‌্য দিয়ে তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতে চাইছে সে। সত্যিটা ঠিক কী?‌ এটা খুঁজে বের করতেই এবার সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে চায় সিবিআই। এই অবস্থায় সিবিআইয়ের ভরসা পলিগ্রাফ টেস্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট। সিবিআই এবং সিট দু’‌জনেরই দাবি, সঞ্জয় আগে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং কিছু সরঞ্জাম হাতে এসেছে। এই সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে সঞ্জয়ের দেওয়া বয়ানের মিল পাওয়া যায়নি। শিয়ালদা আদালতে শুক্রবার এসিজেএম শুভজিৎ রক্ষিতের চেম্বারে হাজির করানো হয় সঞ্জয়কে। সিবিআইয়ের কাছে তাকে আরও একদিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা না চাওয়ায় তাদের তদন্তে যে অগ্রগতি হয়নি, সেটা স্পষ্ট।

    এছাড়া সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সঞ্জয় রায় তদন্তকারীদের জানিয়েছে, ৯ অগস্ট ভোর ৬টা নাগাদ সে চতুর্থ তলায় যায়। সেখানে এক পরিচিতকে দেখে ফেরার সময় খেয়াল করে, সেমিনার হলের দরজা খোলা। সে হলের ভিতরে ঢুকেছিল। কিন্তু কাউকে দেখতে পায়নি। গোটা ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও সঞ্জয় তখন হাসপাতালের ভিতরে কাউকে দেখতে গিয়েছিল সেটার কোনও প্রমাণ সিবিআই পায়নি। সঞ্জয়ের সামনে ভোররাতের সিসিটিভি ফুটেজ তুলে ধরায় তার কথায় বহু অসঙ্গতি ধরা পড়ে যায়। সিবিআই সূত্রে খবর, অন্য জুনিয়র ডাক্তার এবং নার্সদের থেকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার আগেই জেনেছিল ওই তরুণী রাতে একা রয়েছেন। কিন্তু কারা এই খবর দিয়েছিল? খুঁজছে সিবিআই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)