স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও মেলেনি সুরাহা, কর্মবিরতি চালানোর সিদ্ধান্ত
এই সময় | ২৫ আগস্ট ২০২৪
সুপ্রিম কোর্টের আর্জির পরেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সেও যান আরজি করে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা। এরপরেও কর্মবিরতি তোলা হয়নি। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষ কর্তারা আরজি করে গিয়ে চিকিৎকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতেও গলল না বরফ।আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে আসছেন। ঘটনায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান ডাক্তাররা। জট কাটাতে এদিন স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষকর্তারা আরজি করে যান। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হাসপাতালের অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই ডাকা হয়েছিল আরজি করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। তবে সেই বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এরপরেও কর্মবিরতি চলবে বলে চিকিৎসকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে দফায় দফায় রাজ্য সরকারের তরফে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে। আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কোনও হাসপাতালের প্রশাসনিক পদে রাখা যাবে না বলে আবেদন জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়ে দেন তাঁকে অনির্দিষ্টকালীন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও আবেদন জানান তিনি।
অন্যদিকে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল সিজিও কমপ্লেক্সে যায়। আরজি করে ঘটনার তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, সে সম্পর্কে সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু, আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্ত চলছে বলে আরজি করে চিকিৎসকদের তদন্ত সম্পর্কে বিশেষ কিবহু জানানো হয়নি। সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়েও কর্মবিরতি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাই জানান চিকিৎসকরা।
এরপর শনিবার স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষ করার গিয়েও একপ্রস্থ চেষ্টা চালায়। কিন্তু, অনড় আরজি করে চিকিৎসকরা। এর আগে আরজি করের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা শীর্ষ কর্তাদের অপসারণ করার দাবি জানিয়েছিলেন আরজি করে চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনে সেই ব্যাপারে আবেদন জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পড়ুয়াদের দাবি মেনে সুপার, নতুন অধক্ষ্য সহ একাধিক অধিকারিদকের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, বিচারের আশায় এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন চিকিৎসকরা।