‘ভুল ওষুধ’ খাইয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী সহ ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার হাওড়ায়
এই সময় | ২৫ আগস্ট ২০২৪
নিজের স্বামীকে ‘ভুল ওষুধ’ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনা হাওড়া জেলার মুন্সীডাঙ্গা এলাকায়। ওই মহিলার সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। ঘটনার প্রতিবাদে সেই যুবকের ওষুধের দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। নামাতে হয় র্যাফও। অভিযুক্ত যুবক ও মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালতে পেশ করা হলে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে হাওড়ার বাঁকড়া মুন্সীডাঙ্গা সর্দার পাড়ার জামা-কাপড়ের ব্যবসায়ী নাসিম সর্দার (৩৮)-এর স্ত্রীর সঙ্গে ওষুধ দোকানের মালিক শেখ মোরসালেমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ওষুধ দোকানের পাশেই ডাক্তারের চেম্বার ছিল। নাসিম সর্দার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ওই চিকিৎসকের কাছেই যান। স্বামীর জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ কিনতে পাশেই ‘প্রেমিক’-এর দোকানে যান অভিযুক্ত মহিলা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে যুবকের ওষুদের দোকান থেকে ভুল ওষুধ দেওয়া হতো।
দীর্ঘদিন ভুল ওষুধ খাওয়ার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি। স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানতে পারেন দীর্ঘদিন ভুল ওষুধ খাওয়ানোর ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নাসিম। অভিযুক্ত যুবক ওষুধের দোকানের একজন কর্মচারীর হাত দিয়ে পরবর্তীকালে নাসিমের কাছে ওষুধ পাঠাতো। কর্মচারী ওষুধের ছবি তুলে রেখেছিলেন। সেই ছবি তিনি নার্সিংহোমে জমা দেন। সেখান থেকেই জানতে পারা যায়, নাসিমকে দীর্ঘদিন ভুল ওষুধ খাওয়ানো হতো।
এরপর নাসিমের মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা নাসিমকে কবর দিয়ে এসে পাড়ায় ফিরলেই এলে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি এবং ওষুধের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। পুলিশের পদস্থ কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নাসিমের স্ত্রীকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এই মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। একটি প্রণয়ঘটিত কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করে দেখে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দিক।’