অভিরূপ দাস: আজ সঙ্গীতশিল্পীদের, কাল শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের! আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শহরে একের পর এক প্রতিবাদ মিছিল। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শনিবার জানিয়েছেন, “শহর কলকাতায় এখন যেটা হচ্ছে সেটা মিছিলের প্রতিযোগিতা। আমার চেতলা ক্লাবেরও কিছু ছেলে বলছে, দাদা পাশের পাড়া মিছিল করেছে আমরাও করব।”
এদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় বাম-বিজেপির লাগাতার আন্দোলন নিয়ে ফিরহাদের বক্তব্য, “মেয়েটিকে নিয়ে রাজনৈতিক খেলা চলছে। এই রাজনৈতিক খেলায় মানুষ নেই। মানুষ বিচার চায়।” সিবিআইয়ের কাছে ফিরহাদের অনুরোধ, “দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। আর যেন আমার বাংলার কোনও মেয়েকে এই অবস্থার মধ্যে পড়তে না হয়।”
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পরে পরেই আরও দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গিয়েছে দেশে। অসমে ধর্ষণ করা হয়েছে বছর চোদ্দর কিশোরীকে। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে একজন নার্সকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার ফিরহাদ জানিয়েছেন, “ধর্ষণ এখন ‘প্যান ইন্ডিয়া সমস্যা।’ চূড়ান্ত অবক্ষয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সমাজ। দেশে এখন একজন রামমোহন রায়ের দরকার।”
টিভি খুললেই ধর্ষণের খবর! শহরের শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মেয়র এদিন জানিয়েছেন, “ওদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আমারও তো একটা ছোট নাতনি আছে। কাল যদি সে আমায় টিভি দেখে জিজ্ঞেস করে তাকে কী জবাব দেব?”
আগামী ২৭ তারিখ নবান্ন অভিযান করবে ছাত্রছাত্রীরা। তা নিয়ে কি চিন্তিত প্রশাসন? ফিরহাদ জানিয়েছেন, “নবান্ন অভিযান ছাত্রছাত্রীরা করছে না। বিজেপি করছে। ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। এটা বিজেপির মিছিল। সামনে শক্তি নেই। বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলছে অরাজনৈতিক মিছিল।’’ ২৭ তারিখের নবান্ন অভিযান নিয়ে ফিরহাদের কটাক্ষ, “ফোকটে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন কেউ কেউ। পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা যায় না।” আন্দোলনকারীদের প্রতি তাঁর হুশিয়ারি, “এইসব খুচরো রাজনীতি করে লাভ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী করেছে। আগে বাংলার মানুষের সমর্থন নিয়ে আসুন।’’ মেয়রের আশ্বাস, সর্বোচ্চ আদালতে আরজিকর কাণ্ডের ধর্ষিতা মেয়েটি ন্যায় বিচার পাবে।