রমেন দাস: আর জি কর হাসপাতালে মধ্যরাতে ভাঙচুরের ঘটনার ফুটেজে নাকি দেখা গিয়েছিল, DYFI-এর পতাকা হাতে নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজারের তরফে বাম যুব সংগঠনের সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতানেত্রীকে। সেই নোটিসের জবাবে শনিবার মীনাক্ষীরা লালবাজার গেলেন ঠিকই, তবে তার আগে বৃষ্টি মাথায় করে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল বুঝিয়ে দিল, যে কোনও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আন্দোলনে সর্বদা পথে প্রতিবাদে রয়েছেন তাঁরাই।
বাংলার মাটিতে ‘শূন্যতা’ কাটিয়ে রাজনৈতিক জমি ফের শক্ত করতে এবার আর জি কর (RG Kar Hospital) ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে বামফ্রন্ট। আর এ বিষয়ে দলের ছাত্র-যুব সংগঠনকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন কমরেডরা। শনিবার কলেজ স্ট্রিট থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। দুপুরে তুমুল বৃষ্টি মাথায় করেই কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু করেন দীপ্সিতা, সায়ন, কনিনীকা, গার্গীরা। তাঁদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দেন পর্বতারোহী পিয়ালি বসাকও। তিনি বৃষ্টি (Rain) ভিজতে ভিজতেই বলেন, ”একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তার তদন্ত কী হচ্ছে, আমরা জানি না। আর সঠিক তদন্ত হবেই বা কীভাবে? অনেক প্রমাণই তো এতদিনে লোপাট হয়ে গিয়েছে। কেন দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আগেই দেহ পোড়ানো হল?”
দীপ্সিতা ধরদের সাফ কথা, ”বৃষ্টি হোক কিংবা ঝড়-তুফান, আমাদের এক বোন, আমাদের সহনাগরিকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। তার সুবিচারের দাবিতে আমরা পথে নেমেছি। সুবিচার চাই। আর এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কীভাবে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে, আমাদের নোটিস দেওয়া হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।” মিছিল থেকে অশান্তি হতে পারে, এই আশঙ্কায় বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, ছিল ব্যারিকেডও। তবে তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। টানা বৃষ্টিতে জলে ডোবা রাস্তা পেরিয়ে মীনাক্ষী-সহ নোটিস পাওয়া ৭ জন লালবাজারের (Lalbazar) ভিতরে ঢোকেন। বাইরে তখন মিছিলে শামিল অগণিত মানুষ অপেক্ষায়।
দেখুন ভিডিও:
এদিকে RG KAR কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বেলা ১২ টায় কলকাতা অ্যাপ ক্যাব অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভারস ইউনিয়ন (CITU) একটি গাড়ির মিছিল করে। রাসবিহারী মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত মিছিল হয়। গাড়িতে CITU-র পতাকা ছাড়াও ছিল ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘দাবি এক, দফা এক, পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’-সহ একাধিক স্টিকার। প্রায় ৩৫০ টি গাড়ি এবং ৫০ টি বাইক ট্যাক্সি এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে।