• ফিট বাসের আয়ু বাড়াতে চায় রাজ্য সরকার, এবার গ্রিন ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • অগস্ট মাস পড়তেই বহু বাস বাতিল করে দিতে হয়েছে পরিবহণ দফতরকে। সরকারি ও বেসরকারি বহু বাস বাতিল হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি বাসের সংখ্যাই বেশি। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল। ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল করে দিতে হবে। সেগুলি ফিট নয় এবং পরিবেশ দূষণ করে। এবার ফিট থাকা বাণিজ্যিক বাস চলাচলের মেয়াদ ১৫ বছরের সময়সীমা থেকে বাড়ানো হোক বলে আর্জি নিয়ে আদালতের দুয়ারে কড়া নাড়তে চলেছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এই কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ বছরের পুরনো বাস বা বাণিজ্যিক পরিবহণ তুলে নিতে হয়। তাই নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, যে বাসগুলি ফিট নয় সেগুলি বাতিল করতে আপত্তি নেই। কিন্তু ১৫ বছর পরও যে সব বাস ফিট রয়েছে সেগুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক। বাস মালিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব আসে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে। তাঁদের যুক্তি, করোনাভাইরাসের জন্য দু’‌বছর বাসের চাকা রাস্তায় গড়ায়নি। কিছু বাস এখনও ১৫ বছর পর ফিট রয়েছে। সেগুলি তুলে নেওয়া হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। এবার এই প্রস্তাব বিবেচনা করে আদালতের দুয়ারে কড়া নাড়ার কথা ভেবেছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানান, বাস মালিক সংগঠন অনুরোধ করেন, অনেক বাস ১৫ বছর চললেও স্বাস্থ্য ভাল রয়েছে। তাই ওই বাসগুলিকে যদি চালানো যায় সেই আবেদন করা হয়েছিল। সবদিক বিবেচনা করে পরিবহণ দফতর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    এদিকে বাস কমে যাওয়ায় আমজনতা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। গন্তব্যে যেতে বহু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নতুন কিছু বাস নামানো হলেও সার্বিক সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই পরিবহণমন্ত্রী জানান, গ্রিন ট্রাইবুনাল আইন অনুযায়ী প্রত্যেক ১৫ বছর অন্তর বাস পরিবর্তন করার নির্দেশ আছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ১৫ বছরের পরেও অনেক বাস ফিট থাকছে। পরিবেশ দূষণ হবে না এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাসগুলি আবার চালানো যায় কিনা, সেই আবেদন করা হবে। পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে পুরনো বাসগুলির ইঞ্জিন বদল করে ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছে। এবার তা নিয়ে দিশা দেখানোর জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানানো হবে।

    অন্যদিকে নতুন বাস নামাতে খরচ আছে। তাই বাস মালিকরা বিকল্প পথ খুঁজে বের করেছেন। এই পথ তাঁরা পরিবহণমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। সেটা নিয়ে দফতরে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় আদালতের দুয়ারে বিষয়টি তুলে ধরার। এই বিষয়ে শ্রীরামপুর মহকুমার বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক রঞ্জন প্রামানিক বলেন, ‘‌১৫ বছর পুরনো বহু বাসের স্বাস্থ্য ভাল। কারণ করোনাভাইরাসের সময় প্রায় তিন বছর গাড়ি চলেনি রাজপথে। তাতে মালিকদের ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবদিক পর্যালোচনা করে যদি ১৫ বছরের পরেও বাস চলাচলের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যায়, তার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)