• বিশ্রামাগারের পাশের জায়গা বিক্রি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: দোকান বসানোর টোপ দিয়ে সরকারি জায়গা বিক্রির অভিযোগ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মাথাভাঙা-২ ব্লকের রুইডাঙা নয়ারহাট বাজারের। সেখানে বিশ্রামাগার সংলগ্ন আমগাছের পাশে থাকা সরকারি জায়গাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আমগাছকে ঘিরে টিনের চালাঘরও গড়ে উঠেছে। আমগাছের গুঁড়ির চারপাশ দিয়ে চলছে দেওয়াল নির্মাণ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে পূর্তদপ্তর এবং ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি।

    তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দুর্গামন্দিরের উন্নয়নের নাম করে কালু মিয়াঁ নামে এক ব্যক্তির কাছে ওই জায়গাটি বিক্রি করা হয়েছে। এজন্য কালুর থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন তাঁরা।  

    মাথাভাঙা-ফালাকাটা রাজ্যসড়কের রুইডাঙা নয়ারহাট বাজারের বিশ্রমাগারের পাশে একটি আমগাছ রয়েছে। আমগাছের পাশে এক চিলতে জায়গা বেশকিছুদিন ধরে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। আমগাছের নীচের জায়গাটি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা, এমনটাই অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে, ওই টাকা দুর্গামন্দিরের উন্নয়নে ব্যয় হবে। যদিও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা দীপক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বাজারের ব্যবসায়ী এবং দুর্গামন্দির কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ওই জায়গাটি কালু মিয়াঁকে দেওয়া হয়েছে। তিনি আমগাছকে ঘিরে চালাঘর করছেন। গাছের যাতে ক্ষতি না হয় সেকথাও আমরা তাঁকে জানিয়েছি। এনিয়ে অযথা জলঘোলা করা হচ্ছে। আমি টাকা হাতিয়ে নিইনি। ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা সুজন দাস বলেন, ব্যবসায়ী সমিতি এবং বাজার পরিচালন কমিটি মিলে দুর্গামন্দিরের উন্নয়নের জন্য কালু মিয়াঁর কাছে দোকানঘরের বিনিময়ে টাকা নিয়েছে। এনিয়ে অযথা বির্তক তৈরি করা হচ্ছে।

    এদিকে কালু মিয়াঁ বলেন, আমাকে জায়গা দিয়েছে, তাই দোকান তৈরি করছি। পূর্তদপ্তরের লোকজন এসে গাছকে এড়িয়ে কাজ করতে বলেছে। ওরা সিমেন্টের খুঁটির বদলে বাঁশের খুঁটি দিয়ে দোকান তৈরি করতে বলেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)