• আর জি কর কাণ্ডে দোষীর শাস্তির দাবিতে কোচবিহারে তৃণমূলের মিছিল
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: আর জি কর কাণ্ডে ‘অভয়া’র হত্যাকারীদের বিচার কবে হবে সিবিআই জবাব দাও। এই দাবিতে শনিবার কোচবিহারে মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মিছিলে মানুষের জনজোয়ার দেখলেন কোচবিহারবাসী। সিবিআই যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ করে, এই দাবির পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবান্ন দখলের যারা চিন্তা করছে তাদেরকেও এদিন সাফ হুঁশিয়ারি দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এসব করলে তৃণমূল কর্মীরা যে হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবে না, তাও এক প্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। 

    শনিবার বিকেলে কোচবিহারের রাসমেলার মাঠ থেকে মিছিল বের হয়। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় মিছিল কার্যত শুরু করতে হয় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে। মিছিলটি সাগরদিঘিকে বাম দিকে রেখে সুনীতি রোড হয়ে বিশ্বসিংহ রোডে ওঠে। সেখান থেকে মীনাকুমারী চৌপথি হয়ে পাওয়ার হাউস চৌপথি, হাসপাতাল চৌপথি হয়ে জেনকিন্স মোড় হয়ে আবার রাসমেলা মাঠে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, আব্দুল জলিল আহমেদ, পরেশ অধিকারী, পার্থপ্রতিম রায়, মহিলা সভানেত্রী সুচিস্মিতা দেবশর্মা সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে প্রথম থেকেই উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মন, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। 

    অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, কোচবিহারের রাজপথ থেকে আমাদের দাবি, রাজ্য সরকার, প্রশাসন এই তদন্ত করছে না। তদন্ত করছে সিবিআই। ফাঁসি কবে হবে? সিবিআই জবাব দাও। লক্ষ্য একটাই, যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন বলেছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন ততদিন সিপিএম, বিজেপির এখানে এক ইঞ্চি জমি দখল করার কোনও সুযোগ নেই। কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে রাত দখল করে পশ্চিমবঙ্গের নবান্ন দখল করবে, তারা জেনে রাখুক, তাদের জন্য শুধু রাতের অন্ধকারটুকুই থাকবে। দিনের আলো দেখা হবে না।

    বাংলাদেশের অরাজকতা বাংলায় হবে না বলে জানান কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তিনি বলেন, যারা রাজপথে নেমে দোষীদের বিচারের আড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছে, তারা কি আদৌ দোষীদের শাস্তি চাইছে? তারা চাইছে বাংলাদেশের মতো অরাজকতা। যদি বিচারের নামে আন্দোলনের নামে বাংলায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হয়, তাহলে তৃণমূল কর্মীরা হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবে না। দরকার হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের তৈরি 

    থাকতে হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)