• ফ্লাড শেল্টার ভাড়া দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি বিদ্যুত্ ব্যবহারের টাকাও দিতে হয় না আবাসিকদের
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: হরিরামপুরে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ফ্লাড শেল্টার ব্যবহার হচ্ছে আবাসন হিসেবে। পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে। তার জন্য দিতে হয় না বিল। কয়েক বছর অনিয়ম চললেও অন্ধকারে হরিরামপুর ব্লক প্রশাসন।

    হরিরামপুর ব্লক অফিসের পিছনে বিডিওর সরকারি আবাসের পাশেই রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ফ্লাড শেল্টার। সেটি হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে। অভিযোগ, ২০১৭ সালের পর থেকেই ফ্লাড শেল্টারটি আবাসন হিসেবে ব্যবহার করছেন ব্লকের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। একাধিকবার ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও সরকারি ফ্লাড শেল্টারের দখল ছাড়েননি ওই কর্মীরা। সেখানে থাকার জন্য পরিবার পিছু দু’হাজার টাকা করে ভাড়া নেয় পঞ্চায়েত সমিতি। যদিও ফ্লাড শেল্টারে আলাদা করে বিদ্যুতের সংযোগ নেই। হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ মাঠের উপর দিয়ে তার টেনে ফ্লাড শেল্টারে সরবরাহ হয়েছে। বছরের পর বছর সরকারি খরচে এসি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন সহ অন্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী ব্যবহার করে যাচ্ছেন ব্লকের কর্মীরা।

    জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক অনিল গুপ্ত বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তৈরি ফ্লাড শেল্টার পঞ্চায়েত সমিতি আবাসন হিসেবে ভাড়া দিতে পারে না। পঞ্চায়েত সমিতিকে দায়িত্ব দেওয়ার অর্থ এই নয়, তারা ফ্লাড শেল্টার ভাড়া দিয়ে আয় বাড়াবে। সেটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ভাড়া দেওয়ার জন্য নয়। জেলার তরফে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফ্লাড শেল্টারটি তৈরি হয়। একাধিকবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও তার সঠিক ব্যবহার হয়নি। দুর্গতদের আশ্রয় নিতে হতো স্কুল, কলেজে। হরিরামপুর বিডিও এসবের কিছুই জানেন না। অথচ যে রাস্তা দিয়ে বিদ্যুতের তার ঝুঁকিপূর্ণভাবে টানা হয়েছে, সেদিক দিয়ে রোজই তিনি যাতায়াত করেন। বিডিও অত্রি চক্রবর্তী বলেন, কয়েকমাস আগে এখানে এসেছি। ফ্লাড শেল্টারে আবাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে কিছুই জানা নেই। তদন্ত করে দেখব। 

    হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়ার মন্তব্য, আগের বোর্ড ব্লকের কর্মীদের ফ্লাড শেল্টার ভাড়া দিয়েছে। ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুতের বিল পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়ন ফান্ড থেকে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে কিছু জানি না।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)