• মেখলিগঞ্জের ব্যাধপাড়ায় পানীয় জল পৌঁছতে পাইপ বসানোর কাজ শুরু
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: এতদিন কুয়োর অপরিস্রুত জলই ভরসা ছিল আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের। স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর সেই সমস্যা এবার মিটতে চলেছে। ফলে উল্লাসে মেতে উঠেছেন কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের ব্যাধপাড়ার বাসিন্দারা। শনিবার থেকে গ্রামে শুরু হয়েছে নলবাহী পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপ বসানোর কাজ। রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের উদ্যোগে ওই এলাকায় ঘরে ঘরে নলবাহী পানীয় জল পৌঁছনোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে খুশি এলাকার বাসিন্দারা।

    সারা বছর পানীয় জলের তীব্র আকালে ভুগতে হতো উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাধপাড়ার কয়েকশো বাসিন্দাকে। স্থানীয় বাসিন্দা ধীরেন ব্যাধ, প্রফুল্ল ব্যাধ, বাহাদুর ব্যাধ, নিরঞ্জন ব্যাধদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে শুধু আশ্বাসই মিলত। কিন্তু পানীয় জল সমস্যা মেটেনি। তীব্র জলকষ্টে ভুগতে হয় গ্রামের সকল বাসিন্দাকে। এবার সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬৫ নম্বর উছলপুকুরি ও ১৮১ নম্বর ধুলিয়া উছলপুকুরি গ্রামে বেশিরভাগ বাসিন্দারাই আদিবাসী। যা ব্যাধপাড়া নামে পরিচিত। ব্যাধ মহল্লায় বেশিরভাগ বাড়িতেই পানীয় জলের উৎস বলতে হয় পাতকুয়ো কিংবা অগভীর নলকূপ। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক সময় সেই জল খাওয়া তো দূর অস্ত, তা দিয়ে কাপড় কাচা কিংবা বাসন মাজার কাজও করা যায় না। তবুও বছরের পর বছর ধরে সেই নোংরা জলই বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে। এর ফলে পেটের অসুখ ও চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। তবে এবার এলাকায় নলবাহী পানীয় জলের ট্যাপকল বসার কাজ শুরু হয়েছে। এতে কয়েকশো পরিবার উপকৃত হবে। 

    উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গায়েত্রী বর্মন বলেন, পানীয় জল নিয়ে ওই এলাকায় বড় সমস্যা ছিল। এবার তা মিটবে। মেখলিগঞ্জের বিডিও অরিন্দম মণ্ডল বলেন, ওই এলাকায় ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)