নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: অমৃত ভারত প্রকল্পে সাড়ে ২৫ কোটি ব্যয়ে সাজবে জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী টাউন স্টেশন। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রেলের। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনটি বহু ইতিহাসের সাক্ষী। এই স্টেশনে নেমেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ফলে স্টেশনটিকে যাতে হেরিটেজ হিসেবে গড়া হয়, সে ব্যাপারে রেলের কাছে প্রস্তাব রেখেছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়। এদিকে, স্টেশন সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে ভাঙা পড়ছে বহু পুরনো বাজার। জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজারে ছ’শোরও বেশি ব্যবসায়ী রয়েছেন। বাজার ভাঙা পড়লে তাঁরা কোথায় যাবেন, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চিন্তা শুরু হয়েছে। রেল ও জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁরা বাজারের জন্য বিকল্প জায়গা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা বলেন, ২৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকায় জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন সংস্কার ও আধুনিকীকরণের কাজ হবে। অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যেই ওই কাজ শেষের টার্গেট রয়েছে। স্টেশনটিকে হেরিটেজ হিসেবে গড়ার প্রস্তাব নিয়ে রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দাবি, রেলের কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব জমা পড়ে। সবটাই খতিয়ে দেখা হবে।
রেল সূত্রে খবর, পুজোর আগেই স্টেশন বিল্ডিংয়ের একাংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যাবে। এদিকে, স্টেশন লাগোয়া বাজার সরিয়ে নিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে একবার নোটিস দেওয়া হয় রেলের তরফে। তারপর ফেব্রুয়ারিতেও রেলের আধিকারিকরা এসে বাজার সরানোর কথা বলে যান। সেসময় ব্যবসায়ীদের তরফে জানানো হয়, বাজারের জন্য তাঁদের বিকল্প জায়গা দিলে তাঁরা সরে যেতে রাজি।
জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক যোগীন্দর দাস বলেন, ১৯৬৯ সাল থেকে আমাদের বাজার চলছে। এখানে ৬১১ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। আমরা চাই, রেল উন্নয়নের কাজ করুক। কিন্তু এতজন ব্যবসায়ীর কথা ভেবে বাজারের জন্য বিকল্প জায়গা দিক। যোগীন্দরের দাবি, সাংসদ আমাদের বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।