দুর্নীতি দমন আইনে সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের
বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তে নামল সিবিআই। শনিবারই এ বিষয়ে এফআইআর করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে এবং সেখান থেকে কীভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি, সেটা খুঁজে বের করবে তারা। একইসঙ্গে এই ঘটনায় হাসপাতালের আর কোন কোন চিকিৎসক প্রাক্তন অধ্যক্ষের সহযোগী ছিলেন, সেটি জানতেও তাঁর অনুগত ডাক্তারদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে খবর।
আর জি করে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালত জানিয়ে দেয়, রাজ্যের তৈরি করা সিট সমস্ত নথি তুলে দেবে সিবিআই কে। সে অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়েই নথি হস্তান্তর করে সিট। সেগুলি প্রাথমিকভাবে দেখার পর দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করে আলিপুর আদালতে এফ আই আর কপি জমা করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর তদন্তের জন্য বিশেষ টিম তৈরি হচ্ছে বলে খবর। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা দেখছেন, বিগত পাঁচ বছরে কত টাকা এসেছিল এই হাসপাতালে। তার মধ্যে ভারত সরকারের ভাগের কত টাকা রয়েছে। দেখা হচ্ছে, কোন কোন প্রকল্প পুরোপুরি রাজ্যের অর্থে তৈরি করা, আর কোন কোন প্রজেক্টে ব্যয়ভার কেন্দ্র-রাজ্য যৌথভাবে বহন করেছে। যে সমস্ত প্রজেক্টের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে, নাকি শুধুই কাগজে কলমে রয়ে গিয়েছে। ভুয়ো নথি তৈরি করে সরকারি টাকা নয়ছয়ের পরিমাণ কত, সেটিও মূল্যায়ন করবেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে প্রজেক্ট কস্ট হিসেবে যা বলে হয়েছে, তার সঙ্গে বাজার চলতি দামের সামঞ্জস্য আছে, নাকি ঠিকাদার সংস্থাকে বাড়তি পাইয়ে দেওয়ার কাজ করেছিলেন সন্দীপবাবু, সেটা নথি বিশ্লেষণ করে দেখবেন তদন্তকারীরা। যে ঠিকাদার সংস্থা বরাত পায়, তারা টেন্ডারে অংশ নিয়েছিল, নাকি প্রাক্তন অধ্যক্ষ নিজের ক্ষমতা বলে ওই সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দেন, সেটা তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেন্ডার পাওয়ার জন্য কত টাকা কোম্পানির মালিকদের দিতে হতো সেটি জানতে বরাত প্রাপ্ত সংস্থাগুলির কর্তাদের ডাকা হবে। পাশাপাশি হাসপাতালের বর্জ্য নিষ্কাশন সহু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচার করার যে অভিযোগ উঠেছে, তাও রয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায়। সেই কারণে কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে টালা থানায় অঙ্গ পাচার নিয়ে হওয়া অভিযোগের এফআইআরের কপি আদালত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে খবর। দেখা হচ্ছে, ওই ঘটনার তদন্ত কতদূর এগিয়েছিল। এক্ষেত্রে প্রাক্তন অধ্যক্ষ কীভাবে জড়িত এবং চক্রের পান্ডাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা কোন পর্যায়ে ছিল, তা নিয়ে তথ্যানুসন্ধান চালাবে এজেন্সি।