নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগের ভিত্তিতে ছ’সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীদের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি-তে ৪৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০২১ সালের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ধাপে ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে সাঁওতালি মাধ্যমে নবম এবং দশম শ্রেণির কর্মশিক্ষার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য শূন্যপদ ছিল ১৯টি। মামলাকারী শিবরাম সিনহা সহ বাকি আট চাকরিপ্রার্থীর দাবি, তাঁরা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করা হয়। কিন্তু তারপরও কারও চাকরি হয়নি।
এ নিয়ে মামলাকারীরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখান থেকে সদুত্তর না মেলায় তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, ১৯টি শূন্যপদের জন্য মেধা তালিকায় ১৭ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম ছিল। যার মধ্যে এই আটজনও ছিলেন। অর্থাৎ এই আটজনেরই নিয়োগপত্র পাওয়ার কথা। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মামলাকারীদের সমস্ত তথ্য যাচাই করার পরেও তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে আশিসবাবু দাবি করেন, এ নিয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষের তদন্তের প্রয়োজন।
মামলার শুনানিতে এসএসসি ও পর্ষদকে একাধিকবার নোটিস দিলেও তারা এড়িয়ে গিয়েছে। শেষমেশ বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশে জানিয়েছেন, পর্ষদ মামলাকারীদের আবেদন ফেলে রাখতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে পর্ষদকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।