• অশোকনগরে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ঘিরে নয়া রহস্য
    বর্তমান | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শুক্রবার দুপুরে অশোকনগরের গুমা নবপল্লি এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। ঘুরপাক খাচ্ছে অজস্র প্রশ্ন। তাহলে কি স্ত্রী ও আট বছরের শিশুকন্যাকে খুন করার পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহকর্তা? স্থানীয়দের এই প্রশ্ন উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।


    স্থানীয়দের প্রশ্ন, আট বছরের একটি মেয়ে আত্মহত্যা সম্পর্কে কী জানে! সে নিজে আত্মঘাতী হতে পারে না। সন্দেহের সূত্রপাত এখানেই। তাহলে কি গৃহকর্তা দীপক রায় স্ত্রী পিউকে প্রথমে খুন করার পর প্রমাণ লোপাট করতে আট বছরের মেয়েকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন? সব সম্ভাবনাকেই মাথায় রেখে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। 


    শুক্রবার সকালে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যার তত্ত্ব নিয়ে ধোঁয়াশায় প্রতিবেশীরা। অশোকনগর থানার পুলিস জানিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তিনজনের মৃত্যুর সময় এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপক রায় স্থানীয় একটি প্লাইউডের কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর আট বছরের মেয়ে মিষ্টি দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। শুক্রবার ভাড়া বাড়ি থেকে দীপকবাবু, তাঁর স্ত্রী ও আট বছরের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। সুইসাইড নোট থেকে জানা যায়, ঋণের দায়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। পুলিস তদন্তে জানতে পারে, ঋণদানকারী সংস্থা থেকে লোন নিয়ে দীপকবাবু বাইক, একটি দামি মোবাইল ও একটি দামি খাট কিনেছিলেন। এর জন্য মাসে কিস্তির মোটা টাকা দিতে হতো। পুলিসের অনুমান, ওই ঋণের টাকা শেষমেশ পরিশোধ করতে না পারায় এই পরিণতি। তবে, এক্ষেত্রে আট বছরের মেয়ের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা বেনজির বলেই পুলিস মনে করছে। তাদের অনুমান, স্ত্রীকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার পর মেয়েকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন গৃহকর্তা। সবশেষে তিনি নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)