নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: থইথই শহরতলি। শনিবার দুপুরের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে বারাকপুর থেকে বারুইপুর। বাদ যায়নি বজবজও। মহেশতলার বহু জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত বহু ওয়ার্ড। বারাকপুর, সোদপুর, টিটাগড়, কামারহাটি, বরানগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমায় ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। ভারী বৃষ্টি ও জল জমে যাওয়ায় বহু রাস্তা থমকে যায় যানজটে।
বারাকপুরের এস এন ব্যানার্জি রোড, বারাসত রোড সংলগ্ন এলাকা এবং বি টি রোডের বিভিন্ন জায়গা অতি বর্ষণে জলমগ্ন হয়েছে। সোদপুরে বি টি রোডের পশ্চিম দিকে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। কামারহাটিতেও একই অবস্থা। জল জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন পথচলতি মানুষ। হাঁটু জল ভেঙেই যাতায়াত করতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে বারুইপুর শহর। পুরসভার ৩, ৪, ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। জল ঢুকেছে বেশ কিছু বাড়িতে। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা ও নিয়মিত নর্দমা সাফাই না হওয়াকেই একারণে দায়ী করেছেন বাসিন্দারা। ওয়ার্ডগুলি বারংবার জলমগ্ন হলেও উদাসীন পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
মহেশতলা পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডই এখন জল থইথই। অলিগলি থেকে পিচ রাস্তা— কোথাও হাঁটু সমান জল, কোথাও আবার পা ডোবা জল। বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে একতলার ক্লাসরুমে জল ঢুকে গিয়েছে। এই জল কবে নামবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তাই এদিন থেকেই ছুটি ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের কথায়, এখানে নিকাশি নালা পরিষ্কার হয় না। যে খাল দিয়ে আগে জল যেত, তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অবরুদ্ধ। যেকারণে রাস্তার জল উপচে বহু মানুষের ঘরে ঢুকেছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা ১ থেকে ১১ নম্বর এবং ২৮, ২৯ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। মহেশতলা পুরসভা চত্বরে থইথই করছে জল। নুঙ্গি স্টেশন থেকে পশ্চিম জগতলা পর্যন্ত গোটা এলাকা ডুবে গিয়েছে। স্থানীয় বসিন্দাদের অভিযোগ, উত্তর চকতলা, পশ্চিম যোগতলা এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জল খালে গিয়ে পড়লেও, খালের মুখ বন্ধ থাকায় তা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডকে প্লাবিত করেছে।