বারাসত মেডিক্যাল কলেজে কাজ শুরু করলেন অধ্যক্ষ সুহৃতা, শনিবারও শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান
আনন্দবাজার | ২৫ আগস্ট ২০২৪
আবার ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আবারও বিক্ষোভ। শুক্রবারের পর শনিবারও একই ছবি দেখা গেল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে কাজ শুরুর প্রথম দিন সুহৃতা পালকে বাধার মুখে পড়তে হল। যদিও হাসপাতালে ঢোকার মুখেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের জন্য কাজে যোগ দিতে পারেননি সুহৃতা। শুক্রবারও তাঁকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান লেখা পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। তবে সেই বিক্ষোভ সরিয়ে দেয় পুলিশ। শুক্রবারই কাজে যোগ দিয়েছিলেন সুহৃতা। তবে কাজে যোগ দিলেও শুক্রবার কাজ শুরু করতে পারেননি বারাসত মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ। কাজে যোগ দিয়েই হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। শনিবার সকালে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে আসেন সুহৃতা। কিন্তু তাঁকে দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে নাগরিক সমাজের একাংশ। তাদের হাতে ছিল পোস্টার। সেখানে লেখা ‘গো ব্যাক সুহৃতা পাল’। স্লোগানও দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তবে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলেই আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আন্দোলনকারীরা পৌঁছে গেলে পুলিশ তাঁদের হটিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সুহৃতা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁকে কোনও অবস্থাতেই বারাসত মেডিক্যাল কলেজে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। তবে পুলিশ আন্দোলনকারীদের হাসপাতালের বাইরে বার করে দেয়। তার পরেই কাজ শুরু করেন সুহৃতা।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপ ঘোষ। ওই পদে আনা হয়েছিল সুহৃতাকে। তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি মেনে সুহৃতাকে গত বুধবার আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার তাঁর বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন কলেজে কাজে যোগ দিতে পারেননি সুহৃতা। শুক্রবার দুপুরে সুহৃতা বারাসত মেডিক্যাল কলেজে যান। অধ্যক্ষ হিসাবে যোগও দেন। তবে শনিবার কাজ শুরু করলেন তিনি।