চাকলায় লক্ষাধিক ভক্তের ভিড়, টাকি রোড যানজট মুক্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ
এই সময় | ২৫ আগস্ট ২০২৪
জন্মাষ্টমীর জন্য প্রতি বছর উত্তর ২৪ পরগনার চাকলায় লোকনাথ ধামে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। ইতিমধ্যেই দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন চাকলা মন্দিরে। কলকাতার বাগবাজারের গঙ্গার ঘাট, ব্যারাকপুরের মণিরামপুর, দাসপুর ঘাট, ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাট, নৈহাটি এবং বসিরহাটের ঘাট থেকে স্নান সেরে ভক্তরা হেঁটে এই মন্দিরে যান। যশোহর রোড ও টাকি রোডে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য দফায় দফায় ইতিমধ্যেই বৈঠক করে পুলিশ। জাতীয় সড়কে যাতে যানজট তৈরি না হয় সেই কারণে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারী পণ্যবাহী গাড়ির, পুলিশ সূত্রে খবর এমনটাই।কী জানানো হচ্ছে পুলিশের তরফে?
বারাসতের ডিএসপি(ট্রাফিক) আলোক রঞ্জন মুন্সি জানান, অন্যান্য বছরের মতো একই রুট রাখা হয়েছে। আজ সকাল থেকেই ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে জলেশ্বর থেকে বড় পণ্যবাহী গাড়ি অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে জাগুলি, সোদপুর, নৈহাটি দিয়ে বড় পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে সকাল থেকেই জেলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ছোট যানবাহনের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না।
রবিবার ভোর থেকেই এই নিয়ম মানা হচ্ছে। কোনও রাস্তা অবশ্য ছোট গাড়ির জন্য বন্ধ করা হচ্ছে না। কোনওভাবেই যাতে যানজট তৈরি না হয়, সেই কারণে ভারী পণ্যবাহী গাড়িগুলির উপর এই নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
প্রতি বছরই জন্মাষ্টমীতে চাকলা মন্দিরের লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম ঘটে। এর জেরে বারাসতের টাকি রোড-সহ আশেপাশের এলাকার রাস্তাও রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় জেলা প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও রাস্তাই বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে রাস্তায়। তবে পরিস্থিতি বুঝে কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির অভিমুখ বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভক্তরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের সাহায্যের জন্য থাকছে মেডিক্যাল টিমও। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে।
২৫ এবং ২৬ অগস্ট মন্দিরে কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। ভক্তদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে প্রবেশ করা এবং বেরনোর জন্য থাকছে যথাক্রমে তিনটি করে গেট। মন্দিরের ভিতরে এবং বাইরে থাকছে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য মন্দিরের বাইরে একাধিক জায়গায় মেটাল ডিটেক্টর বসানো হচ্ছে। মন্দির কমিটির চিফ পেট্রন নবকুমার দাস জানিয়েছেন, মন্দির কমিটির তরফে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।