• 'অবস্থান মঞ্চে গিটার বাজিয়ে গান চলছে!' সমালোচনায় লকেট...
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • বিধান সরকার: তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। রাস্তায় নেমে চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বহু মানুষ। শনিবার  চন্দননগর বাগবাজারে একটি অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দিতে আসেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে আরজিকরের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'যত আটকাচ্ছে তত শক্তি বাড়ছে মানুষের মনে জোর বাড়ছে। রাজনৈতিক রং বাদ দিয়ে চন্দননগরের নাগরিক সমাজ সবাই একসাথে মিলিত হয়েছে। আমাদের একটাই দাবি আমরা বিচার চাই। আর বিচার যদি না করতে পারে তাহলে পদত্যাগ করুক'। 

    লকেট আরো বলেন, 'মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে আর এটা দেখে বোঝা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষের শুরু। মানুষ শুরু করে দিয়েছে, এবার শেষটা দেখবে। তিনি আন্দোলন করে এসেছিলেন আজ তিনি কোন আন্দোলন চাইছেন না। মানুষ আন্দোলন করে ওঁকে গদিচ্যুত করবেন। আন্দোলন কথা বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন আন্দোলন শেষ কথা বলতো। আজ তিনি নিজে আন্দোলন করছেন আর অন্যের জন্য ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করছেন। আসলে তিনি আন্দোলন করতে বারণ করছেন। মানুষ শিখে গেছে আন্দোলন কাকে বলে, মানুষ আন্দোলন করেই তাকে গদিচ্যুত করবে। এই ঘটনা মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে সারারাত মানুষ রাস্তার উপরে ছিল'।

    আর জি করের ঘটনায় তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও সেভাবে সিবিআই এর তদন্তে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি বলে মনে করছে একাংশের মানুষ। সে প্রসঙ্গে লকেট বলেন, 'সিবিআই নিশ্চয়ই স্টেটমেন্ট দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি না চায়। হাসপাতাল তার, ডাক্তার তার, সবকিছুতে তারই লোক থাকে তারাই যদি তথ্য না দেয়, যদি তথ্য লোপাট করে দেয় তাহলে সিবিআই কী করবে'। অসম, মহারাষ্ট্রে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সে প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, 'কোন রাজনৈতিকভাবে আমি বলছি না । অসমে কার সরকার, মহারাষ্ট্রে কার সরকার কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বিচারের জন্য প্রত্যেককে একসাথে পথে নামতে হবে'।

    ধর্ষণ রুখতে কি নতুন আইন আনা দরকার ? সে প্রসঙ্গে লকেট বলেন , 'নতুন আইন আনা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করেছে তিনি আইনের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখছেন। এতদিন করল কি, একের পর এক ঘটনা ঘটলো তখন কি আইন ছিল না ? ইচ্ছা করলেই পারতো কামদুনি কাণ্ডে বেকসুর খালাস করল। সরকারি আইনজীবী কামদুনির হয়ে লড়েছে। আইন ওনার হাতে। মুখ্যমন্ত্রী উনি,  ইচ্ছা করলেই করতে পারতেন। নাটক করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কী ছিল? তার মানে বাংলার এই ঘটনাটাকে প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর বলবে এর জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। অবস্থান মঞ্চে গিটার বাজিয়ে চলে গান'।

    পাল্টা লকেটকে আক্রমণ করেন শাসকদলের বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, 'বিলকিস বানোর ঘটনার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি তিনি পদত্যাগ করেছিলেন ? উত্তরপ্রদেশ, হাথরাসে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল সেখানে কজন মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন ? আর উনি এখানে বিপ্লব করছেন। মমতা ব্যানার্জি সবার আগে দোষীর শাস্তি চেয়েছেন। তিনি নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ভারতবর্ষে প্রতি ঘন্টায় চারজন করে ধর্ষিতা হচ্ছেন, দশ দিনে ৯০০ ধর্ষণ হচ্ছে । দিনে ৯০ টা ধর্ষন হচ্ছে লকেট দেবীর সেখানে যান না মুখ্যমন্ত্রীদের পদত্যাগ করান'।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)