CBI-এর 'ভ্রান্তিবিলাস', আর জি করে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ভুল ঠিকানায় হানা
এই সময় | ২৫ আগস্ট ২০২৪
রবিবারের সকালে বার দুয়েক ডোর বেল বাজে। ছুটির দিন এই অযাচিত হাঁকডাকের প্রত্যাশা করেননি হুগলির হাটগাছার বাসিন্দা মদন ঘোড়ুই বা তাঁর পরিবার। খানিক ব্যাজার মুখেই খোলেন দরজা। কিন্তু, তারপরেই চোখ কপালে। দোরগোড়ায় সিবিআই অফিসাররা দাঁড়িয়ে। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। কয়েক সেকেন্ড কোনও কিছুই ঠাহর করতে পারেনি মদনবাবু। আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু, তা বাইরে শহর কলকাতার হাসপাতালের সঙ্গে তাঁর কোনওকালে সামান্যতম ব্যবসায়িক যোগাযোগটুকু ছিল না। তাহলে কেন তাঁর বাড়িতে সিবিআই? আধিকারিকরা জানান, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে এসেছেন তাঁরা। এই কথা শুনে কার্যত আকাশ থেকে পড়েন মদনবাবু। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যাবতীয় কাগজপত্র দেখে আধিকারিকরা বুঝতে পারেন তাঁরা অন্য ঠিকানায় এসে পৌঁছেছেন। শেষমেশ তাঁর থেকে ক্ষমা চান সিবিআই আধিকারিকরা।আরজি কর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। রবিবার সকালে সেই ঘটনার তদন্তেই হাটগাছায় মা তারা বিল্ডার্সের মালিকের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। মালিক মদন ঘোড়ুইকে তাঁর ব্যবসার কাগজপত্র দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই কাগজ দেখে ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারেন তিনি ওষুধ বা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত নন। এমনকী, আরজি করের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষকে চেনেন না তিনি।
এরপরেই সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের ভুল বুঝতে পারেন। মা তারা ট্রেডার্সের বদলে মা তারা বিল্ডার্সে ঢুকে পড়েছেন বলে বুঝতে পারেন। শেষমেশ মদন ঘোড়ুইয়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এ দিন মদনবাবু বলেন, 'সিবিআই আধিকারিকরা ব্যবসার কাগজপত্র দেখতে চান। যাবতীয় তথ্য দেখাই তাঁদের। এরপরেই তাঁরা বুঝতে পারেন ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবসা আমি করি না। এরপর তাঁরা ক্ষমা চান।' তিনি আরও বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় আমি এবং আমার গোটা পরিবার চিন্তিত। দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। সিবিআই আধিকারিকদেরও সেই কথা জানিয়েছি।’
এই ঘটনার পর আধিকারিকরা সাড়ে নটা নাগাদ মদনবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে মা তারা ট্রেডার্সের উদ্দেশে রওনা হন। ওই একই এলাকায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিক বিপ্লব সিংহের বাড়িতে যান তাঁরা।