• ধুতিতে ধর্ষণের দাগ…..পুজোর অনুদান ফেরানো নিয়ে সিপিএমকে আক্রমণ কল্যাণের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। এর প্রতিবাদে উত্তরপাড়ার তিনটি ক্লাব দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার পর ঘোষণা করেছে। সেগুলি হল-শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো এবং বৌঠান সঙ্ঘ। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই এই অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ক্লাবগুলি। তবে এর মধ্যে রাজনীতি দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক তৃণমূলের নেতারা উত্তরপাড়ার এই ঘটনায় সিপিএমের দিকেই আঙুল তুলছেন। এনিয়ে সিপিএমকে কটাক্ষ করেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সমাজমাধ্যমে একাধিক ক্লাব অনুদান নেবে না বলে জানিয়েছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা ঘোষণা করেননি। আবার অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে অনেক ক্লাব পিছু হঠছে। এবিষয়ে একটি ক্লাবের বক্তব্য, তারাও অনুদান ফেরাতে চায়। অনুদানের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে চায় না। তবে সেরকমটা করলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অনুদান না নিলে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের তরফে বিদ্যুৎ সংযোগ বা অন্যান্য সরকারি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আবার পুরসভাও জঞ্জাল পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতে পারে অথবা জঞ্জাল পরিষ্কার নাও করতে পারে। সেদিকে তাকিয়েই অনেকেই পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে। 

    উল্লেখ্য, পুজোর অনুদানের জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য সরকারের পোর্টাল খুলবে। তার আগে অনেক ক্লাব এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এবিষয়ে উত্তরপাড়ার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তথা দলের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর আমন্ত্রিত সদস্য শ্রুতিনাথ প্রহরাজ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আরজি করের প্রতিবাদে এই আন্দোলন হল সামাজিক আন্দোলন। গণবিক্ষোভের ফল। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। সিপিএমের ভূত দেখছে তৃণমূল।’

    পাল্টা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উত্তরপাড়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, দুর্গাপুজোর জন্য সরকারি অনুদানের টাকা প্রত্যাখ্যান করা কিছু ক্লাবে রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। সিপিএম আরজি করের মতো সংবেদনশীল বিষয় ব্যবহার করে প্রচারে আসতে চায়ছে। স্থানীয় সিপিএম নেতা শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বলেছেন যে তৃণমূল সর্বত্র সিপিএমের ভূত দেখছে। তবে তাঁর জানা উচিত যে সিপিএম মানে সাধারণ মানুষের কাছে গণহত্যাকারী ও সহিংসতাকারী। তাদের ধুতিতে ধর্ষণের চিহ্ন রয়েছে। তৃণমূল লাল হার্মাদদের পাত্তা দেয় না। মূর্খের স্বর্গে বাস করলে এমনই হয়।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)