• ‘আমার নাতনিটা কী ভাবছে? বড় হয়ে…’ ধর্ষণ নিয়ে উদ্বেগে ফিরহাদ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করের সেমিনার হলে ধর্ষণ ও চিকিৎসক খুনের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। অনেকেই ভাবছেন আমাদের বাড়িতেও তো মেয়ে রয়েছে। এমন পরিণতি যেন কারোর না হয়!  এবার খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেও এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। শনিবার একটা সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মূলত তাঁর নাতনি রয়েছে। সেকারণে একজন দাদু হিসাবে তিনি সেই উদ্বেগের শরিক। 

    তবে ফিরহাদ হাকিম শুধু বাংলার কথা নয়, গোটা দেশের কোথায় কোথায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, সারা দেশে গড়ে প্রতিদিন ৯০টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়ের প্রয়োজন।  সারা ভারত জুড়ে এই ঘটনা সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। মনে রাখতে হবে এটা শ্রীচৈতন্যদেবের ভারতবর্ষ, নেতাজির, ক্ষুদিরামের দেশ। এই ভারতবর্ষ কত মুনিঋষির জন্ম দিয়েছে। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। আজ অসমে, কাল উত্তরাখণ্ডে, পরশুদিন পাঞ্জাবে, খবর কাগজ খুললে রোজ ধর্ষণের ঘটনা চোখে পড়ছে। 

    এরপরই ফিরহাদ বলেন, আমার নাতনিটা কী ভাবছে? বড় হলে কী আমারও এই অবস্থা হবে? এই সমাজকে পালটাতে হবে। এই ঘৃণার সমাজ, অসহিষ্ণুতার সমাজ কেন তৈরি হচ্ছে? আগে তো এমন ছিল না। নতুন করে কেন হচ্ছে? এত ঘৃণা কেন? …

    প্রশ্ন তুলেছেন ফিরহাদ হাকিম। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন আরজি করের এত বড় ঘটনার পরেই কেন সাসপেন্ড করা হল না সন্দীপ ঘোষকে? কার অনুমতি তার পরেই ভাঙা হচ্ছিল সেমিনার রুমের পাশের রুম? সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বার বার নানা অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। তারপরেও কেন সন্দীপ ঘোষকে আড়াল করার জন্য এত চেষ্টা? 

    এদিকে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা এখনও তাদের আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। মিটিংয়েও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। 

    তবে প্রায় ১১ দিন কর্মবিরতির পর কল্যাণী এইমসের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি তুলে নেন। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মতোই এতদিন এইমস হাসপাতালের বহির্বিবিভাগ বন্ধ ছিল। চালু ছিল শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ। তবে শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার এবং রেসিডেন্সিয়াল ডাক্তাররা। 

    অন্যদিকে, জহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে টানা ১৩ দিন ধরে কর্মবিরতি চলে।সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররাও কাজে যোগ দিয়েছেন। ওই হাসপাতালেও রোগী পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারাও কিছুটা সুর নরম করেছেন। কাজে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করছেন জুনিয়র ডাক্তার ও ইন্টার্নরা। ১৪দিনের বেশি সময় ধরে সেখানে চলছে কর্মবিরতি। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)