বান্ধবীকে খুনের পর পোশাক বদল অজয়ের, উদ্ধার হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র
এই সময় | ২৬ আগস্ট ২০২৪
বর্ধমানের নান্দুর ঝাপানতলার আদিবাসী তরুণী খুনের ঘটনায় অজয় টুডু নামক এক যুবককে শনিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্ধমান আদালত ধৃতের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অজয়কে গ্রেপ্তার করা হলেও কোন অস্ত্র দিয়ে সে প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা নামক যুবতীকে হত্যা করেছিল, তা উদ্ধার সম্ভব হয়নি শনিবার পর্যন্ত। হেফাজতে নেওয়ার পরেই জেরা করা হয় অজয়কে। রবিবার তাকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, জেরায় অজয় জানিয়েছিল খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র সে কোথায় লুকিয়েছে। সেই মোতাবেক তাকে নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় অস্ত্রটি। পুলিশ জানায়, স্টেশন সংলগ্ন ঝোপে একটি হলুদ রক্তমাখা গেঞ্জি এবং জিন্স ও খুনে ব্যবহৃত ছুটি উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রিয়াঙ্কাকে খুনের পর পোশাক পরিবর্তন করে অজয়। তারপর লোকাল ট্রেন ধরে এলাকা ছাড়ে সে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অগস্ট সন্ধ্যায় নান্দুর ঝাপানতলায় উদ্ধার হয় প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা নামক তরুণীর গলাকাটা দেহ। বিক্ষোভে উত্তাল হয় গোটা এলাকা। তদন্তে নামে পুলিশ। সব্জি ক্ষেতের থেকে ৫০ মিটার দূরে প্রিয়াঙ্কার দেহ উদ্ধার হয়। পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করার জন্যই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা, প্রাথমিকভাবে এমনটাই সন্দেহ করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় প্রিয়াঙ্কার কল লিস্টও। সেই সময়ই সামনে আসে অজয়ের নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় অজয় এবং প্রিয়াঙ্কার আলাপ হয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলেও অপর পক্ষ তাতে রাজি ছিল না। ১৪ অগস্ট ট্রেনে গাংপুরে আসে অজয়। প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডাকে। পরে তাঁকে হত্যা করে সে, অভিযোগ এমনটাই। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছিলেন, অজয়কে জেরা করে আরও নয়া তথ্য সামনে আসতে পারে।
এদিকে, ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকলে দোষীদের শাস্তি হোক, এই দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কার মা। পুলিশ জানিয়েছে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।