জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাদের দিকে ইঙ্গিত? 'পদে যাওয়ার জন্য দেখা যায়, কোনও ভোট এলে যতজনকে টিকিটের জন্য দেখা যায়, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটটাকে রি টুইট করার প্রয়োজন মনে করছে না'। বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা। ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিতে যখন আন্দোলবে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা, তখন অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে পাল্টা পথে নেমেছে তৃণমূলও। কলকাতা মিছিল করেছেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কুণাল বলেন, 'যাঁরা কমিটিতে, কে ব্লকের প্রেসিডেন্ট, কে শাখার অমুক, কে অমুক গণ সংগঠনের..আমাদের কোন কমিটি, কোন পদাধিকারী, আমাদের জনপ্রতিনিধি কই? প্রত্যেকটা অপপ্রচারে পাল্টা কেন পোস্ট হবে না? অধিকাংশের হাতে তো দামি স্মার্ট ফোন আছে। স্মার্ট ফোনটি লোক দেখানোর জন্য, দলের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য নয়'?
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে আবহে নারীসুরক্ষা নিয়ে ফের সরব প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কড়া বার্তা, 'আমি প্রতিটি রাজ্য সরকারকে আরও এক বার বলতে চাই যে, মেয়েদের উপর অপরাধের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। কে অপরাধী, সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু তারা যেন ছাড় না পায়'।
কুণাল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে এই জ্ঞানের কথা সাজে না। তাঁর রাজ্য গুজরাটে বিলকিস গণধর্ষিতা, বিলকিসের মেয়ে খুন করা হয়েছে, বাড়ির লোককে খুন করা হয়েছে। যাবজ্জীবন দিয়েছিল সু্প্রিম কোর্ট। বিজেপি সরকার, নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সরকার জেলে গেট খুলে দিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁদের মুক্তি দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে আবার ভিতরে ঢুকিয়েছে। যোগী সরকার উন্নাও, হাথরস, প্রয়াগরাজ। মধ্যপ্রদেশ বিজেপি সরকার, মহারাষ্ট্র কিছুদিন আগেই ভয়ংকর ঘটনা, গণধর্ষণ। উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা, ডাক্তারবাবু ধর্ষণ করছেন ২ রোগিনীকে। মণিপুর, সাক্ষী মালিক, সোনার মেয়েরা আমাদের, কুস্তিগীর, তাঁদের শ্লীলতাহানি করেছিল বিজেপির ব্রিজভূষণ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। সেই নরেন্দ্র মোদী বড় বড় কথা বলতে আসছেন! যদি মা-বোনে সম্মান যদি সুরক্ষিত থাকে, তাহলে সেটা পশ্চিমবঙ্গেই আছে। কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে সেই ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না'।