• কলকাতায় নবমের ছাত্রীর পথ আটকে হাত ধরে টানাটানি, প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যের সাধারণ মানুষ পথে নেমে বিচার চাইছেন। সবার একটাই সুর ন্যায্য বিচার হোক আর নিরপত্তা দিতে হবে। কিন্তু, তারপরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটছে যা মেয়েদের নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। এত বড় ঘটনার পরেও শহর কলকাতার মেয়েরা যে এখনও নিরাপদ নন তা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আলিপুরের একটি ঘটনা। ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর পথ আটকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অগস্ট। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকাল ১১.৩০ টার দিকে। আলিপুরের এলআইসি কোয়ার্টারের দিকে যাচ্ছিল কিশোরী। সেই সময় লাল রঙের একটি গাড়ি করে তার পথ আটকায় বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি। এরপর নাবালিকাকে কেক খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, কিশোরীর নাম এবং ফোন নম্বরও জানতে চায় অভিযুক্ত। এমনকী তার হাত ধরে পর্যন্ত টানাটানি করে। তখন কোনওভাবে মেয়েটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

    পরে বাড়ি ফিরে মেয়েটি সেই কথা জানায় তার মাকে। আরজি করের ঘটনা নিয়ে এমনিতেই ফুঁসছে আমজনতা। ফলে এমন ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান কিশোরীর মা। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে তৎপরতার সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তারপরে লাল রঙের গাড়ি শনাক্ত করেন তদন্তকারীরা অভিযুক্তের সন্ধান পান। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রলয় ঘোষ। বাড়ি হরিদেবপুর থানার বিদ্যাসাগর পল্লিতে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারার পাশাপাশি পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    এদিনের ঘটনায় ফের কলকাতায় নারি নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই আরজি করে ঘটে গিয়েছে পাশবিক ঘটনা। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়। তাতে গ্রেফতার হয়েছে কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। বর্তমানে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এই ঘটনার পরে জোরদার হয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি। একইসঙ্গে অপরাধীর দ্রুত কঠোর শাস্তি দিতে হবে বলে সব মহলে জোরদার দাবি উঠেছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)