মেট্রোপলিটনে শেষ কলকাতা মেট্রোর জোড়া পিলার তৈরির কাজ
এই সময় | ২৬ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: মেট্রোপলিটান মোড়ের কাছে একজোড়া ‘পোর্টাল’ তৈরির কাজ শেষ করে ফেলল রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। কলকাতা মেট্রোর নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত শাখায় অর্থাৎ অরেঞ্জ লাইন নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে এই সংস্থা। ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনে নির্মাণের কাজই এক ধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে গেল জোড়া ‘পোর্টাল’ তৈরিতে।ইংরেজি ‘ইউ’ হরফটা উল্টো করে বসিয়ে দিলে যেমন দেখতে হবে, তেমন দুই ‘পা’ বিশিষ্ট থাম বা পিলারই ‘পোর্টাল’ নামে পরিচিত। পিলারের পা দুটো যাবতীয় ভার বহন করে আর উপরের সমতল অংশে তৈরি হয় ভায়াডাক্ট। মেট্রোপলিটান মোড়ের কাছে এমনই দুটো পোর্টাল তৈরির কাজ শেষ হওয়ায় ইএম বাইপাসের উপর প্রায় ১২৫ মিটার যে অংশে ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ বাকি থেকে গিয়েছে, সেখানে কাজ শুরু সম্ভব।
জুনে এই পোর্টাল তৈরির কাজ শুরুর সময়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। বাস্তবে তার অনেক আগেই কাজ সেরে ফেললেন ইঞ্জিনিয়াররা। অরেঞ্জ লাইনে আপাতত কবি সুভাষ থেকে রুবি পর্যন্ত প্রায় ৫.৪ কিলোমিটার অংশে ট্রেন চলছে। রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশে পরিদর্শন চালিয়েছেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)-র আধিকারিকরা। কবি সুভাষ থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশে যাত্রী পরিবহণের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে।
এ বার আরভিএনএল চাইছে, ডিসেম্বরের মধ্যে রুবি থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত টানা ৮ কিলোমিটার অংশে নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ করে ফেলতে। এই পরিস্থিতিতে মেট্রোপলিটান মোড়ের কাছে এই জোড়া পোর্টাল তৈরি হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে সংস্থা। অতীতে ওই পোর্টাল তৈরির সুবিধাজনক জায়গা পেতে প্রায় ৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত দুটো পোর্টাল তৈরির মতো জায়গা পাওয়া গিয়েছে এবং কাজও সারা।
অরেঞ্জ লাইনে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ শুরুর পর বেশ কিছুদিন এই অংশে পরিষেবা বিকেলেই বন্ধ করে দেওয়া হতো। পরে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হয়। তবে যাত্রিসংখ্যা এখনও অনেকটাই কম। এর কারণ অবশ্য সংক্ষিপ্ত রুট। কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত না হোক, অন্তত সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ শুরু না হলে প্যাসেঞ্জার বাড়ার আশা কম বলেই মনে করছেন মেট্রোর কর্তারা। তাই যত দ্রুত সম্ভব অরেঞ্জ লাইনকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করে তাকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বা গ্রিন লাইনের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা।