• জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে কালনার প্রাচীন গোপালজিউর মন্দিরে সাজ সাজ রব
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালনা: জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে কালনা শহরের প্রাচীন গোপালজিউ মন্দিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। ফুল ও আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে মন্দির। সোমবার জন্মাষ্টমীর দিন অধিবাসের মধ্যে দিয়ে কষ্টি পাথরের প্রাচীন গোপাল বিগ্রহকে নবরূপে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করা হবে। 

    বর্ধমান মহারাজাদের আমলে কালনা শহর ও শহরতলিতে শিব, রাধাগোবিন্দ, লালজী কৃষ্ণচন্দ্র সহ একাধিক মন্দির গড়ে ওঠে। তবে একমাত্র ২৫ চূড়া মন্দিরটি গড়ে উঠেছিল কালনা শহরের সিদ্ধেশ্বরী পাড়ায়, সেটিই গোপালজিউর মন্দির। কথিত আছে, ১৭৬৬ সালে বর্ধমান রাজমহিষীর আবদারে কালনা শহরের সিদ্ধেশ্বরী পাড়ায় মন্দিরটি গড়ে ওঠে। টেরাকোটার শিল্পসমৃদ্ধ মন্দিরটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীন। মন্দিরে বিগ্রহ রূপে রয়েছে প্রায় এক ফুটের কষ্ঠিপাথরের গোপালমূর্তি। তবে, পুরাতত্ত্ব বিভাগের কালনার অন্যান্য স্থাপত্যগুলির যেমন রক্ষণাবেক্ষণ সহ নজরদারি রয়েছে, সেই দিক দিয়ে এই মন্দির অনেকটাই অবেহেলিত। নিত্যপুজোর সঙ্গে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বড় অনুষ্ঠান হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই উৎসব কমিটি গড়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উৎসব পালন করে আসছেন। উৎসাহী ভক্তদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে গোপালজিউ সেবা কমিটি। ঝুলন পুর্ণিমার পর থেকে গোপাল বিগ্রহের অঙ্গরাগ শুরু হয়। নতুন রূপে সেজে ওঠেন গোপাল। জন্মাষ্টমীতে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে বিগ্রহ এক বছরের জন্য সিংহাসনে নবরূপে অধিষ্ঠিত হন। সোমবার সন্ধ্যায় বিগ্রহের পূর্ণাভিষেক ও নতুন পোশাকে অঙ্গাভরণে সাজিয়ে তোলা হবে। এরপর পুজোপাঠ, পুষ্পাঞ্জলি ও ভোগরাগ অনুষ্ঠিত হবে রাতভর। ভোগ হিসাবে তালের বড়া, সুজির পায়েস, দুধ, ক্ষীর সহ নানা মিষ্টি থাকে। হাজার হাজার ভক্তপ্রাণ মানুষ মেতে ওঠেন জন্মাষ্টমী উৎসবে। তবে, প্রাচীন মন্দিরের সুরক্ষা ব্যবস্থা তেমন কিছুই নেই। মন্দিরে চুরির ঘটনাও ঘটেছে। কালনার বাসিন্দারা চান, মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি সুরক্ষা ব্যবস্থায় নজর দেওয়া হোক।

    উৎসব কমিটির সম্পাদক অরূপ ভট্টাচার্য বলেন, জন্মাষ্টমী উৎসব মন্দিরের বৃহত্তম উৎসব। হাজার হাজার ভক্তপ্রাণ মানুষ ভিড় করেন। তবে, স্থাপত্যে থাকা প্রাচীন শিল্পকর্ম ক্ষতির মুখে। পুরাতত্ত্ব বিভাগের মন্দিরের প্রতি নজর নেই। স্থাপত্য রক্ষায় পুরাতত্ত্ব বিভাগ গুরুত্ব দিক। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)