• কংসাবতীর উপর সেতু জরাজীর্ণ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার
    বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: কংসাবতী নদীর উপর বাঁশের তৈরি সেতু জরাজীর্ণ। এর ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় সাধারণ মানুষকে। এমনকী এলাকার পর্যটন শিল্পও ভেঙে পড়ছে। ছবিটা খড়্গপুর লোকাল থানার বড় কোলা ও মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জ এলাকার মধ্যে সংযোগকারী সেতুর। গ্রামের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বড় কোলা এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে এগ্রি অ্যাডভেঞ্চার পার্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পর্যটকদের নিরাশ হতে হয়। কংসাবতী নদীর জল বেড়ে গেলে বাঁশের তৈরি সেতু ভেঙে যায়। সেই সময় মোহনপুর হয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। বাঁশের তৈরি সেতুতে বহুবার দুর্ঘটনা হওয়ায় এলাকার মানুষ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন। 

    মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। সাধারণ মানুষের খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। 

    প্রসঙ্গত, বাম আমলে জেলার পর্যটন শিল্প ছিল বেহাল। ধীরে ধীরে পর্যটন ব্যবসা তলানিতে এসে ঠেকেছিল। তার উপর মাওবাদী আন্দোলনের জেরে বহু পর্যটন ব্যবসায়ী হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে ২০১২ সালের পর থেকে জেলার পর্যটন ব্যবসার উন্নতি হতে শুরু করে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, পর্যটক টানতে কংসাবতী নদীর তীরে বড় কোলা এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে এগ্রি অ্যাডভেঞ্চার পার্ক গড়ে ওঠে। একইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্যোগে পার্ক তৈরি করা হয়। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জ থেকে এই সেতুর উপর দিয়ে খুব সহজেই বড় কোলা যাওয়া  যায়। এই সেতু দিয়ে সারাদিনে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কচুরিপানার চাপে বাঁশের সেতুটি ভগ্নপ্রায় হয়ে গিয়েছে। অসংখ্য স্কুলের ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সেতু সংস্কারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অ্যাডভেঞ্চার পার্কের মালিক অমরপ্রসাদ পাত্র বলেন, কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এখনকার অনেকেই কাজও পেয়েছেন। কিন্তু সেতুর সমস্যার জন্য বহু পর্যটক ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারেন না। দ্রুত সেতুর সংস্কার প্রয়োজন। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা রবিশঙ্কর নায়েক বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যে কোনও সময় বড় বিপদ হতে পারে। খুব কম সময়ে যাতায়াতের জন্য বহু মানুষ এই সেতু দিয়েই যাতায়াত করে। পার্মানেন্ট সেতু তৈরি হলে বহু গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)